‘ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়’-বহুল প্রচলিত এই প্রবাদের আবারও বাস্তব প্রমাণ দেখা যাবে কি না, তা জানা যাবে আগামীকাল। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে বেলা আড়াইটায় মুখোমুখি হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের ফল যা-ই হোক, ঘুরেফিরে বারবার আসছে ২০০৩ বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ। দুটো বিশ্বকাপকে এক বিন্দুতে মিলিয়েছে ‘রাহুল’ নামটি।
২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১২৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল ঠিকই। তবে সেই বিশ্বকাপের সঙ্গে ভারতের ২০২৩ বিশ্বকাপের বেশ মিল দেখা যাচ্ছে। দুটো বিশ্বকাপেই ভারতের বেশ দাপট দেখা গেছে। ২০ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়ায় আয়োজিত বিশ্বকাপে ব্যাটিং, বোলিংয়ে ভারত ছিল অসাধারণ। শচীন টেন্ডুলকার, অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ দুই রানসংগ্রাহক। বোলিংয়ে সেরা দশে ছিলেন জহির খান, জাভাগল শ্রীনাথ ও আশিষ নেহরা। টানা ৮ ম্যাচ জিতে সেবার ফাইনালে উঠেছিল ভারত।
২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটার ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ১১ ম্যাচে ৬৩.৬০ গড় ও ৬৪.১১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৩১৮ রান। টুর্নামেন্টে ২ ফিফটি করেছিলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ডারবানে গ্রুপ পর্বে ৫ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭২ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আর সুপার সিক্সে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একই পজিশনে (৫ নম্বরে) ব্যাটিং করে ৫৩ রান করেছিলেন দ্রাবিড়। টুর্নামেন্টে ১১ ম্যাচে ১৬ ডিসমিসাল করেছেন। যার মধ্যে ছিল ১৫টি ক্যাচ ও ১টি স্টাম্পিং।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। তবে লক্ষ্য কম থাকায় (২০০ রানের) ৯৭ রান খেলে অপরাজিত থেকেছেন তিনি। উইকেটরক্ষকের দায়িত্বটাও দারুণভাবে পালন করছেন রাহুল। ১৫ ক্যাচ ও ১ স্টাম্পিংসহ ১৬ ডিসমিসাল করেছেন উইকেটের পেছনে থেকে। সর্বোচ্চ ৪ ক্যাচ ধরেছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।