দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সীমিত ওভারে দুর্দান্ত খেলেছেন সাইম আইয়ুব। ওয়ানডেতে হাতে তুলেছিলেন সিরিজসেরা পুরস্কারও। সাইম হঠাৎই বড় দুঃসংবাদ দিলেন ভাক্ত-সমর্থকদের। কেপটাউন টেস্টের প্রথম দিন ডান পায়ের অ্যাঙ্কেলে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন তিনি। স্ক্যানের পর আজ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, অন্তত ছয় সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন সাইম।
নিজেদের মাঠে আগামী ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগ মুহূর্তে ফেরার কথা সাইমের। দলে থাকতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে শঙ্কা থাকছেই। চোট সেরে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ারও ব্যাপার রয়েছে। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাঁর খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকছেই। পিটিআইকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘তার (সাইমের) ডান গোড়ালির ফ্র্যাকচারের চোট রয়েছে, যা সেরে উঠতে অন্তত ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে।’
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছে, সাইমের গোড়ালিতে চিড় ধরা পড়েছে। তাঁর এক্স-রে ও এমআরআই রিপোর্ট ইংল্যান্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হবে। লন্ডনের চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁর পুনর্বাসনের চিকিৎসা হবে। সাইমের চোট সেরে উঠতে কত দিন লাগবে সেটি নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৬ সপ্তাহের মতো লাগতে পারে।
সাইম এখনো পাকিস্তান দলের সঙ্গেই আছেন। দেশে ফিরবেন দলের সঙ্গেই। তাঁর জায়গায় কেপটাউন টেস্টে খেলছেন আবদুল্লাহ শফিক। কেপটাউন টেস্টের প্রথম সকালেই দুঃসংবাদ পায় পাকিস্তান। ম্যাচের সপ্তম ওভারের ঘটনা—রায়ান রিকেলটনের ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপ দিয়ে বাউন্ডারির দিকে ছোটা বলের পেছনে দৌড় দেন আমের জামাল ও সাইম। বাউন্ডারি বাঁচিয়ে বল পেছনের দিকে ঠেলে দেন জামাল। কিন্তু দৌড়ের মধ্যে হঠাৎ থামতে গিয়ে পুরোপুরি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন সাইম। মচকে যায় তাঁর ডান পায়ের অ্যাঙ্কেল।
সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়েন সাইম। দ্রুত মাঠে ঢুকে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মাঠের বাইরে নিয়ে যান ফিজিও। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চলতি মাসে নিজেদের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজ ও ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজও হাতছাড়া হচ্ছে তাঁর। শঙ্কা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিয়েও। তার আগে ফিট হতে পারবেন কি না, এই প্রশ্ন থাকছেই।