এলিমিনেটর রাউন্ডে প্রত্যাশা মতো স্কোর গড়তে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। নকআউট পর্বের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বোলিং আক্রমণের সামনে একদমই সুবিধা করতে পারেননি তাদের ব্যাটাররা। আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ৯ উইকেটে ১৩৫ রান তুলেছে চট্টগ্রাম।
ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন ছন্দে থাকা তানজিদ হাসান তামিম। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে বেশ ওপরেই তুলে দেন বল। যথেষ্ট সময় পেয়ে গালিতে গিয়ে সহজ ক্যাচ নেন উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম। ৩ বলে ২ রানে আউট হন তানজিদ তামিম।
পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে ওবেদ ম্যাককয়ের ইয়ার্কার লেন্থের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন জশ ব্রাউন। সহজ ক্যাচটা হাতে জমা করতে ব্যর্থ হন তামিম ইকবাল। তখন ব্রাউনের রান ছিল ২০। পরের বলেই সাফল্য পান ম্যাককয়। কাভারে কাইল মায়ার্সকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমরানুজ্জামান। শুরু থেকে নড়বড়ে এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ১৩ বলে করেছেন ৭ রান।
নতুন জীবন পেয়ে বিধ্বংসী হয়ে উঠছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্রাউন। তবে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ম্যাককয়ের করা পরের ওভারেই পয়েন্টে ডেভিড মিলারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ব্রাউন। ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২১ বলে ৩৪ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।
দারুণ শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি টম ব্রুসও। দশম ওভারে মায়ার্সের বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট থার্ডে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে জমা পড়ে। ১১ বলে ১৭ রানে ফেরেন এই কিউই ব্যাটার।
৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক শুভাগত হোম ও সৈকত আলী চাপ সামলানোর প্রচেষ্টাও ব্যর্থ করে দেন তাইজুল ইসলাম। ১২তম ওভারে নিজের বলে ফিরতি ক্যাচে সৈকতকে আউট করে ২১ রানের জুটি ভাঙেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ১৪ বলে ১১ রান করেছেন সৈকত।
ষষ্ঠ উইকেটে রোমারিও শেফার্ড ও শুভাগত হোম ২৪ রানের আরেকটি জুটি গড়েন। ১৫তম ওভারে শুভাগতকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন মায়ার্স। ১৬ বলে ২৪ রান আসে চট্টগ্রাম অধিনায়কের ব্যাট থেকে। ১৭তম ওভারে জেমস ফুলার ফেরান শেফার্ডকে (১১)। ১০ রানে সাইফউদ্দিনের শিকার হয়েছেন নিহাদুজ্জামান। বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন, ম্যাককয় ও মায়ার্স।