অঘটন একটা ঘটেই যাচ্ছিল গত রাতে গায়ানায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করেছে পাপুয়া নিউগিনি (পিএনজি)। শেষ পর্যন্ত বেঁচে যায় উইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার রস্টন চেজ এখানে এনেছেন ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত-অস্ট্রেলিয়ার প্রসঙ্গ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৬ রান করে পাপুয়া নিউগিনি। টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইন-আপ, সেখানে পিএনজিকে তো উড়িয়ে দেওয়ার কথা। তবে ১৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৭ রান হয়ে যায় উইন্ডিজের। এমন পরিস্থিতিতে পাল্টা আক্রমণে ক্যারিবীয়রা ম্যাচ জেতে ১ ওভার হাতে রেখে। ২৭ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন চেজ। ৪টি চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমরা কোনো দলকে হালকাভাবে নিতে চাই না। তারা (পাপুয়া নিউগিনি) এখানে যোগ্য দল হিসেবেই খেলতে এসেছে। একইভাবে আমরা খেলতে চাই, সেটা ভারত, অস্ট্রেলিয়া যে দলই হোক না কেন।’
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তোলার গতিও ধীর হয়ে যায়। চেজ নিজের প্রথম ২০ বলে করেন ১৮ রান। ম্যাচ যখন পেন্ডুলামের মতো দুলছে, তখনই হাত খুলে খেলেন তিনি। ১৮তম ওভারে পিএনজি অধিনায়ক আসাদ ভালার ওভার থেকে উইন্ডিজ নিয়েছে ১৮ রান। চেজ ২ চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন। পরের ওভারে চেজ আরও ২টি চার মারলে ক্যারিবীয়দের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। ধীরগতিতে শুরু করে পরে কীভাবে চড়াও হয়েছেন, চেজ জানিয়েছেন ম্যাচ শেষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার বলেন, ‘জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে পেরে ভালো লাগছে। জানতাম যে ব্যাটারদের জন্য কাজটা কঠিন ছিল। নিজেকে তাই সময় দিয়েছি এবং দক্ষতার ওপর বিশ্বাস রেখেছি। পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটারদের লক্ষ্য করেছি। তারাও সময় নিয়েছে এবং যখনই তারা থিতু হয়েছে, স্কোর করা সহজ হয়ে গিয়েছিল।’