হোম > খেলা > ক্রিকেট

মুশফিকের আউট নিয়ে হট্টগোল, হারলেন তামিমরা

ক্রীড়া ডেস্ক

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আজ বসেছে সেঞ্চুরির মেলা। সুপার লিগের তিন ম্যাচেই দেখা গেছে সেঞ্চুরি। নাজমুল হোসেন শান্ত, রনি তালুকদারদের সেঞ্চুরির দিনে জিতেছে তাঁদের দলও। যেখানে রনির সেঞ্চুরিতে মোহামেডান হারিয়েছে  তামিম ইকবালের দল প্রাইম ব্যাংকে।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হয়েছে  প্রাইম ব্যাংক-মোহামেডান ম্যাচ। ডিপিএলে আজ সুপার লিগের তিন ম্যাচের মধ্যে এই ম্যাচে রান হয়েছে সবচেয়ে বেশি। দুই ইনিংস মিলে হয়েছে ৬০১ রান। আলোচিত ঘটনাও ঘটেছে এই ম্যাচে। ৩৪ ওভারের চতুর্থ বলে নাঈম হাসানকে তুলে মারতে যান মুশফিক। ওয়াইড লং অন এলাকায় ডাইভ দিয়ে ক্যাচ ধরেন আবু হায়দার রনি।  পরে দেখা যায়, ডাইভ দিয়ে ওঠার সময় বাউন্ডারি সীমানায় রনির পা লেগে যায়। ছক্কা না আউট—এই সমস্যার সমাধানে খেলা বন্ধ থাকে দশ মিনিট। প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক তামিম আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত মুশফিককে  আউট ঘোষণা করা হয়। ১২ বলে ১০ রান করেন মুশফিক।

মুশফিকের আউটে প্রাইম ব্যাংকের স্কোর হয়ে যায় ৩৩.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬২ রান। ৯৮ বলে ১৫৬ রান, হাতে ৬ উইকেট—এমন সমীকরণের সামনে তখন পড়ে প্রাইম ব্যাংক। লক্ষ্য একটু কঠিন হলেও লোয়ার অর্ডারে শেখ মেহেদী হাসান ও সাঞ্জামুল ইসলামের ব্যাটিংয়ে কিছুটা আশার আলো খুঁজে পায় প্রাইম ব্যাংক। ৪৫ বলে  ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৪ রান করেন মেহেদী। সাঞ্জামুল ৩৫ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় করেন ৪৯ রান। শেষ পর্যন্ত ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের ৩৩ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রনি তালুকদার। ১৩১ বলে ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১৪১ রান করেন রনি। মোহামেডানের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া মোহামেডান ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে করে ৩১৭ রান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফর্মটা কদিন আগেও পক্ষে ছিল না নাজমুল হোসেন শান্তর। সেই শান্তই বদলে গেলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে এসে। চলতি ডিপিএলে তুলে নিলেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি দুটি এসেছে দশ দিনের মধ্যে। শান্তর সেঞ্চুরির দিনে আবাহনী পেয়েছে টানা ১৩ জয়। এবারের ডিপিএলে এখনো পর্যন্ত অপরাজিত আবাহনী। 

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সুপার লিগে আজ মুখোমুখি হয়েছে আবাহনী লিমিটেড ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আবাহনী অধিনায়ক শান্ত। আবাহনীর দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৫৭ রান। ১৪ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাঈমকে ফেরান শেখ পারভেজ জীবন। নাঈম ফেরার পর দ্রুত ফিরেছেন লিটন। ১৯ তম ওভারের পঞ্চম বলে লিটনকে ফিরিয়েছেন আরেক জীবন। এই জীবন মূলত বাঁহাতি স্পিনার। নাঈম, লিটন দুজনেই করেছেন ৩৩ রান। নাঈম, লিটন খেলেছেন ৫২ ও ৪৪ বল। 

দুই ওপেনারের বিদায়ে আবাহনীর স্কোর হয়ে যায় ১৮.৫ ওভারে ২ উইকেটে ৬৯ রান। তিন ও চারে নামা শান্ত ও এনামুল হক বিজয় দলের বড় স্কোরের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন। তৃতীয় উইকেটে ১৩০ রানের জুটি গড়েন শান্ত ও বিজয়। যেখানে বিজয় বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। ৫১ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৮ রান করেন তিনি। ৩৬ তম ওভারের পঞ্চম বলে বিজয়কে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ফয়সাল আহমেদ রায়হান। তাতে আবাহনীর স্কোর হয়ে যায় ৩৫.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৯ রান। বিজয় না পারলেও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন শান্ত। শান্তর ১০১ রানের ইনিংসটাই আবাহনীর সর্বোচ্চ ইনিংস। ৮৪ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৮ চার ও ৬ ছক্কা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৪৩ রান। 

৩৪৪ রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ২০.৩ ওভারে স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৯৬ রান। ষষ্ঠ উইকেটে সাব্বির হোসেন শিকদার ও মঈন খান গড়েন ৫১ রানের জুটি। ২৯ তম ওভারের শেষ বলে মঈনকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। 

মঈন ১৪ রান করে আউট হলে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের স্কোর হয়ে যায় ২৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৭ রান। ভাঙনের শুরু এখান থেকেই। ২৫ রানে বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৫.১ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় গাজী। আবাহনীর সেরা বোলার রাকিবুল হাসান। ১০ ওভারে ৪৪ রানে নেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেনও দিয়েছেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও তানভীর ইসলাম নিয়েছেন একটি করে উইকেট। আবাহনীর ১৭১ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন শান্ত।

সুপার লিগের আরেক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শাইনপুকুর অধিনায়ক আকবর আলী। ৪৬.১ ওভারে ২৬৪ রানে অলআউট হয় শাইনপুকুর। সর্বোচ্চ স্কোরার জিসান আলম ঝোড়ো ব্যাটিং করলেও সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ৬১ বলে ৮ চার ও ৮ ছক্কায় ৯৮ রান করেছেন তিনি। জিসানের ২ রানের আক্ষেপের দিনে ম্যাচ হেরেছে শাইনপুকুর। রান তাড়া করতে নেমে ৪৬.২ ওভারে ৩ উইকেটে ২৬৫ রান করে শেখ জামাল। ম্যাচসেরা হয়েছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। ১১৯ বলে ৬টি করে চার ও ছক্কায় ১০১ রান করেন তিনি।  

 

আইসিসি টুর্নামেন্টের রীতিটা কেন মানা হচ্ছে না পাকিস্তানের

বিপিএলে আসতে অগ্রিম টাকা নিচ্ছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা

মেয়েদের গণ-অবসরের হুমকিতে বাফুফের বিশেষ কমিটি

ব্যাট ছুড়ে মেরে শাস্তি পেলেন শেখ মেহেদী

বিপিএলে ‘দেশের সম্মানহানি’ হওয়ায় সরকারের বিশেষ কমিটি

ব্র্যাডম্যানের স্মৃতি ফিরিয়ে খাজার ২৩২

খুলনার কাছে বড় হারে রংপুর বলছে, ‘ভাগো বাহে, ভাগো...’

১২ বছর পর রঞ্জিতে কোহলি, দর্শকদের ‘হাঙ্গামা’

নাঈমের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে বেঁচে রইল মিরাজদের আশা

বাংলাদেশ সবখানেই তলানিতে নেমে যাচ্ছে, বলছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার

সেকশন