ক্রীড়া ডেস্ক
চা বিরতিতে যাওয়ার আগেই ১৯০ রানের ঘরে পা রাখা। এরপর শেষ সেশনে এসে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পেতে আবদুল্লাহ শফিক অপেক্ষা করলেন প্রায় আরও ১০ ওভার। ধৈর্যের ফল সুমিষ্ট হয়। আর সেই ফলই পেলেন শফিক। আশিথা ফার্নান্দোর করা ১০৮.৩ ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে দ্বিশতকের ঘরে পা রাখেন পাকিস্তানি ওপেনার।
গত গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন সৌদ শাকিল। প্রথম কোনো পাকিস্তানি হিসেবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে এই কীর্তি গড়েন বাঁহাতি মিডল-অর্ডার ব্যাটার। কলম্বো টেস্টে তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন শফিক। দ্বিতীয় দিন বৃষ্টির কারণে খেলা হয়েছে মাত্র ১০ ওভার। পাকিস্তান তৃতীয় দিন শুরু করে ১৭৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে।
টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান দূরে থেকে ব্যাটিংয়ে নামা শফিক পেলেন প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তান ৫ উইকেটে ৪৭১ রান করেছে প্রথম ইনিংসে। ৩০৫ রানে এগিয়ে গেছে তারা। শফিক অবশ্য দ্বিশতক উদ্যাপনের পর বেশিদূর এগোতে পারেননি। প্রবাথ জয়াসুরিয়ার দ্বিতীয় শিকার হিসেবে ক্যাচ দিয়ে বসেন মাধুশঙ্ককে। ৩২৬ বলে ১৯ চার ও ৪ ছয়ে ২০১ রান করেছেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে আগা সালমানের সঙ্গে ১২৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।
তৃতীয় দিনে শফিকের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামেন বাবর আজম। তবে দ্বিতীয় দিনে কোনো উইকেট না হারালেও আজ শুরুতেই অধিনায়ককে হারায় সফরকারীরা। ২৮ রানে ব্যাটিংয়ে নামা বাবর ব্যক্তিগত ৩৯ রানের মাথায় জয়াসুরিয়ার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। তার আগে সেঞ্চুরির ঘরে পা রাখেন শফিক। এরপর শাকিলকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ১০৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। পাকিস্তান দ্বিতীয় সেশনে ১২৮ রান নেই ১ উইকেট হারিয়ে।
আশিথার তৃতীয় শিকার হিসেবে শাকিল ফেরেন ৫৭ রানে। তবে ফিফটি করেই এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন তিনি। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম সাত টেস্টের প্রতিটিতে ৫০ ঊর্ধ্ব রান পেলেন ২৭ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটার।