বিপিএলে পারিশ্রমিক বিতর্ক নিয়ে খবরের শিরোনাম হওয়াটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিল দুর্বার রাজশাহী। দফায় দফায় উঠেছে চেক বাউন্সের অভিযোগ। এমনকি টুর্নামেন্ট শেষেও পুরো পারিশ্রমিক পায়নি দলটির ক্রিকেটাররা। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক শফিকুর রহমানকে আইনি হেফাজতে পর্যন্ত নেওয়া হয়। তখন ক্রীড়া মন্ত্রাণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খেলোয়াড়দের সব পাওনা পরিশোধ করবে তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশি ক্রিকেটারদের কেবল ৭৫ শতাংশ পারিশ্রমিকই দিতে পেরেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুর্বার রাজশহী জানায়, ‘তৃতীয় কিস্তিতে আমরা স্থানীয় ক্রিকেটারদের ৭৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়েছি। বিসিবির নির্দেশিকা অনুযায়ী, চতুর্থ কিস্তির টাকা ৮ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। ধৈর্য ও সহযোগিতার জন্য সকল খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ এবং তাদের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি ক্রিকেটারদের কেবল ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিকই দিয়েছে রাজশাহী। দলটির অপারেশন্স ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ জানিয়েছেন, ‘আমরা বিদেশিদের পারিশ্রমিক পরিশোধে কাজ করছি। আপাতত স্থানীয় ক্রিকেটারদের তিন কিস্তিতে ৭৫ শতাংশ পারিশ্রমিক সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত বিদেশি ক্রিকেটারদেরও পারিশ্রমিক পরিশোধ করতে আমরা চেষ্টা করছি।’
বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সম্পৃক্ততার প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই। খেলা মাঠে গড়ানোর পর প্রতিশ্রুত পারিশ্রমিক বুঝিয়ে না দেওয়া, বারবার চেক বাউন্স, হোটেল বিল ঠিকঠাক পরিশোধ না হওয়া—এসব অভিযোগ আসে শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। এক পর্যায়ে শক্ত অবস্থানে গিয়ে বিদেশি ক্রিকেটাররা ম্যাচই বয়কট করেছেন। বিপিএলে প্রতিটি ম্যাচে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও পরে বিশেষ বিবেচনায় শুধুই স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে খেলার বিশেষ অনুমতি দেয় বিসিবি।
১২ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে থেকে বিপিএল শেষ করে রাজশাহী। টালমাটাল অবস্থার পরও দলের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন তাসকিন আহমেদ। ২৫ উইকেট নিয়ে আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন ২৯ বছর বয়সী এই পেসার। শুধু তা-ই নয়, তাঁর অধীনে ৪ ম্যাচ খেলে ৩ টিতেই জয় পায় রাজশাহী।