সেন্ট ভিনসেন্টে ম্যাচের শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের নায়ক ওটনিল বার্টমান হলেও মূল নায়ক আসলে তাব্রেইজ শামসি। যাঁর ঘূর্ণিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রূপকথা লেখার সুযোগ পায়নি নেপাল।
অন্যথায় ১ রানের রোমাঞ্চকর জয় পাওয়ার আগে প্রথম টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে নেপালের কাছে ধরাশায়ী হতে হতো প্রোটিয়াদের। ১৮ বলে যখন ১৮ রান প্রয়োজন নেপালের, ঠিক তখনই শামসির হাতে বল তুলে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। বল হাতে নিয়ে অধিনায়ককে নিরাশ করেননি চায়নাম্যান বোলার।
১৮তম ওভারে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড়ই ঘুরিয়ে দিলেন শামসি। ওভারের তৃতীয় বলে দীপেন্দ্র সিং ঐরীকে তুলে নেওয়ার পর শেষ বলে আউট করেন সেট ব্যাটার আসিফ শেখকে। আর তাতেই নেপালের পরাজয়ের চিত্রটা যেন আঁকা হয়ে যায়। এর আগে প্রতিপক্ষের আরও দুই ব্যাটারকে এক ওভারেই আউট করে প্রোটিয়াদের ম্যাচে ফিরিয়েছেন এই স্পিনার।
ম্যাচ শেষে শামসির বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড়ায় ১৯ রানে ৪ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের জন্য পরে ম্যাচ-সেরার স্বীকৃতিও পেয়েছেন তিনি। পুরস্কার নিতে এসে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন তিনি। প্রোটিয়া স্পিনার বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবেই স্বস্তির। আমাদের লক্ষ্যেই ছিল গ্রুপ পর্বে চারে চার করা। পেসাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। স্লোয়ার বোলারদের সামনে আরও এগিয়ে আসতে হবে।’
জয় পেলেও নেপালের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রশংসা করতে ভোলেননি শামসি। তিনি বলেছেন, ‘তারা দুর্দান্ত খেলেছে। কন্ডিশনের পুরো সুবিধাই কাজে লাগিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট ভালো হলেও তারা অসাধারণ ম্যাচ খেলেছে।’