ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রিস জর্ডানের এক ওভারে হ্যাটট্রিকসহ ৪ উইকেট, জস বাটলারের ২১৮.৪২ স্ট্রাইকরেটের ব্যাটিং ও ১০৬ মিটার লম্বা ছক্কা, ৫৮ বলে ১১৭ রানের অবিচ্ছিন্ন ওপেনিং জুটি—কতটা ভয়ংকর হয়ে পারে ইংল্যান্ড সবই দেখা গেল গত রাতে, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। বৃষ্টির কারণে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা ১০ উইকেটে জিতে সবার আগে নিশ্চিত করেছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল।
আর এসবের ভিত্তিটা গড়ে দিয়েছেন মূলত আদিল রশিদ। বার্বাডোজে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ইংলিশ স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। সেই উইকেট দুটি সেট ব্যাটার নিতীশ কুমার ও অ্যারন জোনসের। দুজনকেই বোল্ড করে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরেন আদিল।
জর্ডান ৪ উইকেট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ১৮.৫ ওভারে ১১৫ রানে থামালেও আর অধিনায়ক বাটলার ৩৮ বলে অপরাজিত ৮৩ ইনিংস খেললেও ম্যাচসেরা হয়েছেন আদিল। এখন তাঁর চোখ সেমিফাইনালের দিকে। সঙ্গে সতীর্থদের ভাসালেন প্রশংসায় ও শেষ চারেও চাইলেন এমন পারফরম্যান্স। পুরস্কার নিতে এসে ইংলিশ স্পিনার বলেছেন, ‘আমরা খুব ভালো লড়াই করেছি। মাঝেমধ্যে আমি চার ও ছয় খাবেন। মাঝেমধ্যে উইকেট পাবেন। জর্ডান ম্যাচ-উইনার। গত কয়েক বছর ধরে সে এটা করছে। তাকে বড় ধরনের অভিনন্দন। বাটলার বিশ্বমানের খেলোয়াড়, দুর্দান্ত পারফরমার। এখন এসব সেমিফাইনালে নিয়ে যেতে হবে।’
নিজেদের ইনিংসের শেষ ৬ বলে ৫ উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র। আর এর কৃতিত্ব জর্ডানের। ইংলিশ পেসার অবশ্য উল্টো প্রশংসা করেছেন বাটলারের। ইংলিশ উইকেটরক্ষক-ওপেনার গতরাতে যে খুনে মেজাজে ব্যাট চালিয়েছেন, প্রতিপক্ষ না হওয়ায় তার জন্য যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন জর্ডান। তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আনন্দিত যে তাঁকে (বাটলার) বল করতে হয়নি।’