হোম > খেলা > ক্রিকেট

পেরেরার সেঞ্চুরিতে ১৪ বছরের অপেক্ষা ফুরোল শ্রীলঙ্কার

ক্রীড়া ডেস্ক    

প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১: ১৪
৪৫ বলে ১০১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন কুশল পেরেরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে করেছেন সেঞ্চুরি। ছবি: ফেসবুক

মাহেলা জয়বর্ধনে, তিলকারত্নে দিলশান শ্রীলঙ্কার জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছেন ২০১০ ও ২০১১ সালে। এরপর গত দেড় দশকে কত কিছুরই তো পরিবর্তন হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কানদের সেঞ্চুরি সংখ্যা আটকে ছিল এই দুইয়ে। অবশেষে নেলসনে আজ লঙ্কানদের ফুরোল ১৪ বছরের অপেক্ষা।

সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নেলসনে আজ মুখোমুখি হয়েছে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। আগেই সিরিজ হেরে বসা লঙ্কানদের জন্য ম্যাচটি ছিল ধবলধোলাই এড়ানোর মিশন। সেই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করলেন পেরেরা। তাঁর সেঞ্চুরিতে ‘হাই স্কোরিং থ্রিলারে’ ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পায় লঙ্কানরা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড জিতে নিল ২-১ ব্যবধানে।

টস জিতে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকে শ্রীলঙ্কা। ৯.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৩ রান করে লঙ্কানরা। এরপর চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে ৪৫ বলে ১০০ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন পেরেরা। ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন গ্লেন ফিলিপস।

চতুর্থ উইকেটের বিধ্বংসী জুটি ভাঙার পর দ্রুতই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন পেরেরা। ১৮তম ওভারে জ্যাকব ডাফিকে পিটিয়ে লঙ্কানরা নেয় ২৩ রান। যার মধ্যে পেরেরার একার রানই ২২। সেই ওভারে তিন ছক্কা মারেন লঙ্কান এই বাঁহাতি ব্যাটার। তিন অঙ্ক পেরেরা ছুঁয়েছেন ওভারের শেষ বলে কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে। সেঞ্চুরি করতে তাঁর লেগেছে ৪৪ বল। শ্রীলঙ্কার তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেন পেরেরা। তাঁর ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে লঙ্কানরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে করে ২১৮ রান।

২১৯ রানের লক্ষ্যে নেমে তাণ্ডব চালাতে থাকে নিউজিল্যান্ড। ৪৫ বলে ৮১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন রাচীন রবীন্দ্র ও টিম রবিনসন। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে রবিনসনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বিনুরা ফার্নান্দো। লঙ্কানদের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে এরপর চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে নিউজিল্যান্ড। ১৬.২ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭০ রানে পরিণত হয় কিউইরা। এমন পরিস্থিতিতে শেষ ২২ বলে ৪৯ রানের সমীকরণ মেলাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে স্বাগতিকেরা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১১ রানে থেমে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। অষ্টম উইকেটে জাকারি ফুলকস ও স্যান্টনারের ২২ বলে ৪১ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিটা ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে।

নিউজিল্যান্ডের ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন রাচীন। ৩৯ বলের ইনিংসে ৫ চার ও ৪ ছক্কা মেরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শ্রীলঙ্কার আসালাঙ্কা নিয়েছেন ৩ উইকেট। তবে বোলিংয়ে মুক্ত হস্তে রান বিলিয়েছেন। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫০ রান। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন কুশল পেরেরা। ৪৬ বলে ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় ১০১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন। ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি।

নিউজিল্যান্ডের মাঠে সবশেষ টি-টোয়েন্টি শ্রীলঙ্কা জেতে ২০২৩ সালে। তবে ২ বছর আগে অকল্যান্ডে কিউইদের বিপক্ষে জয়টি লঙ্কানরা পায় সুপার ওভারে। মূল ম্যাচের হিসেব করলে এমনটা সবশেষ হয়েছে ২০০৬ সালে। ১৯ বছর আগে ওয়েলিংটনে টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের ১৯ রানে হারিয়েছিল লঙ্কানরা।

পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে ছাড়ল প্রোটিয়ারা

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো নেই জাহানারার, তাঁকে ছাড়া দল ঘোষণা

দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়াম, মন ভরাতে পারেনি সিলেটের খেলা

ব্যাটারের মাথার ওপর ৫০০ রুপির বান্ডিল উড়িয়ে দিলেন দর্শক