২০২৪ আইপিএল থেকেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের নামের পাশে জুড়ে গেছে ‘রানরাইজার্স হায়দরাবাদ’ উপাধি। কারণ, রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে ওলটপালট করে দিয়েছিল রেকর্ড বইয়ের পাতা। ঝোড়ো ব্যাটিংটা টেনে এনেছে এবারও।
আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৮৭ রানের রেকর্ডটা সানরাইজার্স হায়দরাবাদেরই। বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে গত বছরের ১৫ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিপক্ষে হায়দরাবাদ করেছিল ৩ উইকেটে ২৮৭ রান। প্রায় এক বছর পর আজ নিজেদের রেকর্ডটা ভেঙে নতুন ইতিহাস লেখার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। তবে মাত্র ২ রানের জন্য সেটা হয়নি। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে হায়দরাবাদ করেছে ২৮৬ রান।
টস জিতে আজ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক রিয়ান পরাগ। প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুবিধা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ লুফে নিয়েছে দুহাত ভরে। দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান করেছে দলটি। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে অভিষেককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মাহিশ তিকশানা। ১১ বলে ৫ চারে ২৪ রান করেন অভিষেক।
৪৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ব্যাটিংয়ে নেমে ঈশান কিশান চালান তান্ডব। ৪৫ বলে তুলে নিয়েছেন আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ১৯তম ওভারের শেষ বলে সন্দ্বীপ শর্মাকে লং অফে ঠেলে দুই রান নিয়েই ঈশান শুরু করেন উদযাপন।
শেষ ওভারের প্রথম বলে রাজস্থান রয়্যালসের বোলার তুষার দেশপান্ডেকে ছক্কা মারেন অনিকেত ভার্মা। অনিকেতের ছক্কায় ১৯.১ ওভারে ৪ উইকেটে ২৭৯ রান হয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। নিজেদের রেকর্ড ভাঙতে হায়দরাবাদের তখন দরকার হয় ৫ বলে ৯ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে দেশপান্ডে দুটি উইকেট নিলে আরও কঠিন হয়ে যায়। একটা পর্যায়ে রেকর্ড ভাঙতে শেষ বলে ছক্কার দরকার হয়। ঈশান শেষ বলে চার মারলে হায়দরাবাদের স্কোর থেমে যায় ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৬ রান। ৪৭ বলে ১১ চার ও ৬ ছক্কায় ১০৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ২৮৬ রান হওয়ার পেছনে রাজস্থান রয়্যালসের পিচ্ছিল হাতেরও অবদান রয়েছে। রাজস্থানের ফিল্ডাররা সীমানার ধারে বারবার ক্যাচ ছেড়েছেন। তাণ্ডব চালিয়েছেন হেড, হাইনরিখ ক্লাসেনরাও। ৩১ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৭ রান করেন হেড। ক্লাসেন ১৪ বলে করেছেন ৩৪ রান।