নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন ইবাদত হোসেন। দলের সতীর্থরা যখন ফিটনেস টেস্ট দিচ্ছিলেন, তখন পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ায় কঠিন পরীক্ষা দিতে দেখা যায় এই পেসারকে। আসন্ন এশিয়া কাপের ১৭ জনের দলেও ছিলেন তিনি। সতীর্থদের সঙ্গে নিয়মিত মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এলেও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার বাইরে অনুশীলনে ঘাম ঝরাতে দেখা যায়নি তাঁকে।
সবকিছু মিলে শেষ মুহূর্তে এসে যোগ হলো–এশিয়া কাপে ইবাদতকে নিয়ে শঙ্কা। বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘ইবাদত ছিটকে গেছে, এটা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে ওর চোট নিয়ে মেডিকেল বিভাগের কনসার্ন (দুশ্চিন্তা) আছে। আগামীকাল ফিজিও দেখবে, এরপর বোঝা যাবে কি অবস্থা। কাল রিপোর্ট পাওয়া যাবে এবং বোঝা যাবে।’
ইবাদত পুরোপুরি ফিট হয়ে ওঠেনি ইবাদত। এশিয়া কাপে খেললে পুরোপুরি সেরে ওঠা কঠিন হবে তাঁর। বিশ্বকাপ বিবেচনায় কোনো ঝুঁকিও নিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট। ফলে এশিয়া কাপে ইবাদত খেলবেন কি না, এটি দ্রুতই জানা যাবে। নিজেদের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে চোটে পড়েন ইবাদত। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোলিংয়ের সময় বাঁ পায়ে চোট পান তিনি। এ জন্য পরে আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে রাখা হয়নি তাঁকে।
ইবাদতকে যদি না পাওয়া যায়, তানিজম হাসান সাকিব কিংবা খালেদ আহমেদ বিবেচনায় রয়েছেন নির্বাচকদের। গত মাসে ইমার্জিং এশিয়া কাপ ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী সাকিব। খালেদ ও সাকিব দুজনই আছেন বিসিবির এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের ব্যাকআপ খেলোয়াড় হিসেবে।