ক্রীড়া ডেস্ক
রানআউট না হলে ৩০ রানের ইনিংসটা নিশ্চিতভাবেই হয়তো বাড়াতে পারতেন সাকিব আল হাসান। রান বাড়াতে না পারার সেই আক্ষেপটা অবশ্য বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের। বোলিংয়ে তা পুষিয়ে দিয়েছেন তিনি। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে গল টাইটানসকে ৮৩ রানে জেতাতে সহায়তা করেছেন তিনি।
বোলিংয়ে সাকিবের আগেই অবশ্য কাসুন রাজিথা দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন। দলীয় ৮ রানের সময় বি লাভ ক্যান্ডির ২ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের কাজটা সহজ করে দেন শ্রীলঙ্কান পেসার। ১৮১ রানের লক্ষ্যটা এমনিতেই চ্যালেঞ্জিং ছিল প্রতিপক্ষের কাছে তার মধ্যে এমন ধাক্কা মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আসে।
শুরুর ধাক্কা সামলিয়ে কোথায় রান বাড়ানোর চেষ্টা করবে ক্যান্ডি তা না করে উল্টো নিয়মিত উইকেট হারাতে শুরু করে তারা। সাকিব উইকেট নেওয়ার আগেই ৩৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ক্যান্ডি। এমন অবস্থায় যেকোনো দলের জন্যই ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। সেটি আরেকবার প্রমাণ করল ক্যান্ডি। ৯৭ রানে অলআউট হলে ৮৩ রানের জয় পায় গল।
৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার রাজিথা। আর সাকিব ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১০ রানে নিয়েছেন সমান ২ উইকেট। জয়ের কাজটা অবশ্য বলা যায় গলের ব্যাটাররা আগেই সেরে রেখেছিলেন। ক্যান্ডির বিপক্ষে ৫ উইকেটে ১৮০ রান সংগ্রহ করে। শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ আসে চারে নামা টিম সেইফার্টের সৌজন্যে। সমান ৫টি করে চার-ছক্কায় ৩৯ বলে ৭৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
সেইফার্টকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন সাকিব। চতুর্থ উইকেটে ৯৫ রানের জুটিতে নিজেও ২১ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন বাংলাদেশি ব্যাটার। ২ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি রান আউটে কাটা পড়ে শেষ হয়। ঝোড়োর ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন সেইফার্ট।