খুব বেশি দিন হয়নি ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে। ভারত এবার ব্যস্ত ১৭ তম আইপিএল আয়োজন নিয়ে। সেই উপলক্ষে দুবাইয়ে শুরু হচ্ছে নিলাম। আগামীকাল ২০২৪ আইপিএলকে সামনে রেখে ‘মিনি’ নিলাম হবে আগামীকাল।
নিলাম শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায়, সরাসরি সম্প্রচার করবে স্টার স্পোর্টস। নিলামের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা ৩৩৩ ক্রিকেটারের মধ্যে ২১৪ ক্রিকেটার ভারতের। বিদেশি ক্রিকেটারের সংখ্যা ১১৯। আইপিএলের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি এখন কিনতে পারবে ৭০ ক্রিকেটার। এর মধ্যে ৩০ ক্রিকেটার থাকবে বিদেশি।
তবে এবারের নিলামে নেই বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। ‘রিটেনশন’ বা খেলোয়াড় ধরে রাখার তালিকা থেকে তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। গত কয়েক মৌসুম দিল্লি ক্যাপিটালসে থাকা মোস্তাফিজুর রহমানকে ছেড়ে দিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
রিটেনশন তালিকা থেকে বাদ পড়লেও আইপিএলে দল পাওয়ার ন্যূনতম সম্ভাবনা থাকে নিলামে। তবে সাকিব, লিটন সেই সুযোগটুকু রাখেননি। ড্রাফটে নাম দেননি দুজনেই। বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার ড্রাফটে নাম না দিলেও মোস্তাফিজের নাম আছে ড্রাফটে। তাঁর সঙ্গে নাম দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরীফুল ইসলাম।
কয়েক দিন আগে শেষ হওয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবি হয়। ব্যর্থতার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ৮ ম্যাচে ৫৪.৬৭ গড় ও ৯১.৬২ স্ট্রাইকরেটে করেন ৩২৮ রান। করেন ১টি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি। তবে সেই মাহমুদউল্লাহর নাম ছিল না নিলামের জন্য রাখা সংক্ষিপ্ত তালিকাতে।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের মধ্যে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মোস্তাফিজের। ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে তাঁর আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু। আর সর্বশেষ ২০২৩ আইপিএলে খেলেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে। সব মিলিয়ে ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন ৪৮ ম্যাচ। যার মধ্যে এ বছরের আইপিএলে তিনি ছিলেন বিবর্ণ। ৭ ওভার বোলিং করে ৭৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট, ইকোনমি ১১.২৯। উপরন্তু এবারের বিশ্বকাপে মোস্তাফিজ, শরীফুল, তাসকিন কেউ ভালো করতে পারেননি।
অন্যদিকে আইপিএলে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার ডাক পেলেও পুরো মৌসুম খেলতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। আইপিএল শুরুর সম্ভাব্য সময় ২৪ মার্চ। চলবে এপ্রিল-মে মাস জুড়ে। সেখানে মার্চে বিপিএল শেষের পরপরই বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। এরপর এপ্রিল-মে মাসে রয়েছে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। এরপর জুন মাসে রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে বিসিবি ক্রিকেট অপারেশনের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আইপিএল জাতীয় দলের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ হলে (যদি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ডাক পান) ক্রিকেটারদের পুরো মৌসুম খেলতে দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এ ছাড়া জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। তাদের ইনজুরি ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারেও আমাদের ভাবতে হবে।’