সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আফগানিস্তানকে মানুষ চেনে ‘দৈত্য ঘাতক’ হিসেবে। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তারা হারিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডকে। তাদের বিপক্ষে হারতে বসেছিল অস্ট্রেলিয়াও। সেই ম্যাচে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ‘সুপার মানব’ হয়ে আবির্ভূত না হলে শেষ চারে উঠতে পারত আফগানিস্তান। পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের ‘শিকার’ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
ওই দুটি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রাখলে প্রশ্ন আসে এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাঁদের শিকার কে? আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অভিষেক আফগানদের। হ্যাঁ, আইসিসির বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে এবার প্রথমবারের মতো খেলছে আফগানিস্তান। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শুরুটা নিশ্চিতভাবে স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীরা। আর ওয়ানডেতে দুই দলের লড়াইয়ের পরিসংখ্যানও আফগানদের খুব একটা পেছনে রাখছে না। এ পর্যন্ত পাঁচটি ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩টি জয়ের বিপরীতে আফগানদের জয় ২টিতে।
তার চেয়ে বড় কথা, গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ তারা খেলতে যাচ্ছে করাচি ও লাহোরে। এ দুই ভেন্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন স্পিনাররা। যদিও মোহাম্মদ গজনফার এ টুর্নামেন্টে নেই, তারপরও তাঁকে ছাড়া আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ বৈচিত্র্যময়। উইকেটের একটু সহায়তা পেলে রশিদ, নবী, নূর আহমেদ কিংবা নাঙ্গেলিয়া খারোতে ব্যাটারদের হন্তারক হয়ে উঠতে পারেন।
আফগান দলের যা একটু দুর্বলতা, তা ব্যাটিংয়ের মিডল অর্ডারে। এই মিডল অর্ডারে রানের জন্য লড়াই করতে দেখা যায় আফগান ব্যাটারদের, যা দলের রানের চাকার গতিকে শ্লথ করে দেয়। এটা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগে পাকিস্তান শাহিনস ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেও দেখা গেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মঞ্চে জিততে হলে দলটির মিডল অর্ডারকেও ভালো করতে হবে।
আফগানরা আজ কী করবে, তা সময়ই বলবে। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রতিপক্ষ কেউ তাদের ‘নবাগত’ দেখে ‘নবিশ’ ভাবলে ভুল হবে। সেই ভুল নিশ্চয়ই করতে চাইবে না টেম্বা বাভুমার দক্ষিণ আফ্রিকা।