২০১৪ সালের ১৭ জুন তারিখটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ই হয়ে রয়েছে। একই সঙ্গে সর্বকালের সেরা লো স্কোরিং ম্যাচগুলোর একটি।
ওই দিন ভারতকে ১০৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডে অভিষেকেই ৫ উইকেট নিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। তখন কে জানত, বৃথা যাবে তাসকিনের কীর্তি?
ওই রানটুকুও যে করতে পারেননি তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমরা! তাঁরা থমকে গিয়েছিলেন মাত্র ৫৮ রানে। গড়েছিলেন নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার যৌথ রেকর্ড।
সে দিন মাত্র ৪ রান খরচায় ৬ উইকেট শিকার করে তাসকিনের নৈপুণ্যকে ম্লান করে দিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট বিনি। বলতে গেলে, বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরেছিল তাঁর কাছেই। প্রায় দেড় যুগের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বিনির সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত সাফল্য এটিই। ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত কোনো ভারতীয় সেরা বোলিংও এটি।
সেই স্টুয়ার্ট বিনি গতকাল বিদায় জানালেন সব ধরনের ক্রিকেটকে। এক বিবৃতিতে ৩৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘প্রথম শ্রেণি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আমি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত।’
ক্যারিয়ারটা বেশ লম্বা হলেও ভারতীয় দলে অনিয়মিত ছিলেন বিনি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে খেলার সুযোগ হয়েছে মাত্র ২৩ ম্যাচ। কখনোই ধারাবাহিক হতে না পারায় জাতীয় দলে থিতুও হতে পারেননি এই ক্রিকেটার। দেশের হয়ে সবশেষ ম্যাচটি খেলেছেন ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে এভিন লুইস তাঁর এক ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এমন বাজে পারফরম্যান্সের পর সমালোচনার ঝড় উঠলে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর আর ফেরা হয়নি।
নিজে খুব একটা আলো ছড়াতে না পারলেও বাবা রজার বিনি ছিলেন তারকা ক্রিকেটার। ১৯৮৩ সালে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। জনপ্রিয় ক্রীড়া সাংবাদিক মায়ান্তি ল্যাঙ্গার স্টুয়ার্ট বিনির স্ত্রী। গত বছর তাঁদের ঘর আলো করে এসেছে পুত্রসন্তান।
খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনে এখন হয়তো পরিবারকেই সময় দেবেন স্টুয়ার্ট বিনি।