বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কথা অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও চতুর্থ টি–টোয়েন্টিতে উইকেটের পেছনে থাকার কথা ছিল মুশফিকুর রহিমের। কিন্তু আজ মুশফিক নয়, নুরুল হাসান সোহানই কিপিং করছেন।
২০১৭ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট সিরিজে মুশফিককে ছাড়তে হয়েছিল লাল বলের কিপিং। এত দিন সাদা বলের কিপিং নিয়ে মুশফিককে কারও সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়নি। এবারই প্রথম সাদা বলের কিপিং নিয়েও কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। আর সেটি হচ্ছে সোহানের সঙ্গে।
মুশফিককে গতকালকের অনুশীলনে গ্লাভস হাতে দেখা যায়নি। আজ তো ম্যাচের আগে তাঁর কিপিং ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ কিপিং অনুশীলনে সহযোগিতা করলেন মুশিই। টস হতেই নিশ্চিত হয়ে যায়–উইকেটের পেছনে থাকছেন না মুশি।
পারিবারিক কারণ ও অস্ট্রেলিয়ার কড়া কোয়ারেন্টিন শর্তের ফাঁদে পড়ে মুশফিক এবং লিটন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে খেলেননি। মুশফিক মিস করেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজও। মুশফিক ও লিটন না খেলায় জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে উইকেটরক্ষক হিসেবেই খেলেছেন সোহান। অবশ্য জিম্বাবুয়েতে লিটন খেলার পরও যে ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন, কিপিং করেছেন সোহানই।
১৬ বছর দেশের হয়ে খেলা মুশফিকের হয়তো টিম ম্যানেজমেন্টের এই বাজিয়ে দেখাটা ভালো লাগেনি। যদিও তিনি এ নিয়ে কিছুই বলেননি। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের আগের সিদ্ধান্তের পরও আজ তিনি কিপিং না করায় বোঝাই যাচ্ছে সোহানের সঙ্গে লড়াইয়ে তাঁর আগ্রহ নেই।
ক্যারিয়ারের প্রথম ৫২ টেস্টের ৪৭ টিতেই বাংলাদেশ দলের মূল উইকেটকিপার হিসেবে খেলেছেন ‘মুশি’। ২০১৭ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে মুশফিকের বদলে লিটনকে দিয়েই কিপিং করাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে সাদা বলের ক্রিকেটে কিপিংয়ে এত দিন মুশফিকেই বেশি আস্থা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের।
কিপিং নিয়ে সমালোচনা থাকলেও পরিসংখ্যানে মুশফিক এ সময়ের অন্যতম সেরা কিপার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে ডিসমিসালে মুশফিক আছেন পাঁচ নম্বরে। যেটি আবার বর্তমানে খেলছেন এমন উইকেটকিপারের মধ্যে সেরা। তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজে সোহানকে নিয়মিত উইকেটকিপিং করতে দেখে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তথা ভবিষ্যতে সাদা বলের ক্রিকেটেও মুশফিকের কিপিং নিয়ে সংশয়টা আরও বাড়ল।