ক্রীড়া ডেস্ক
চোটে পড়ে কমপক্ষে তিন মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ছিটকে গেলেন বেন স্টোকস। বাম পায়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়কের।
হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনে হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়েন স্টোকস। এই সিরিজ অবশ্য ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ইংলিশরা। চোটের কারণে গত পরশু ঘোষিত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ভারত সফরের জন্য ইংল্যান্ডের ১৫ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি স্টোকসের। ৩৩ বছর বয়সী সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন গত নভেম্বরে, ২০২৩ বিশ্বকাপে।
এ বছরই দুইবার একই চোট পড়লেন স্টোকস। এর আগে গত আগস্টে দ্য হান্ড্রেডে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান তিনি। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড এ নিয়ে বলেছে, ‘জানুয়ারিতে ডারহাম অলরাউন্ডারের অস্ত্রোপচার হবে।’ স্টোকসও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘কিছু একটা জয় করতে হবে—তারপর যাওয়া যাক।’
ক্যারিয়ারে লম্বা সময় চোটে ভুগতে হয়েছে স্টোকসকে। চোট কাটিয়ে গত বিশ্বকাপে খেললেও এরপর আবারও তাঁকে লম্বা সময় পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
জানুয়ারিতে স্টোকসের দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এসএ২০-তে এমআই কেপটাউনের হয়ে খেলার কথা ছিল স্টোকসের। এখন সেখানে খেলাও অনিশ্চিত তাঁর। ইংল্যান্ড পরের টেস্ট খেলবে মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ট্রেন্ট ব্রিজে। তার আগেই ফেরার সম্ভাবনা আছে স্টোকসের। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম রাউন্ডেই ফিরতে পারেন তিনি। খেলতে পারেন ৪ এপ্রিল ট্রেন্ট ব্রিজে নটিংহ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ডারহামের ম্যাচে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে অস্ত্রোপচারের পর তাঁর সুস্থ হওয়ার ওপর।