ক্রীড়া ডেস্ক
বিব্রতকর রেকর্ড থেকে পুনে ওয়ারিয়র্সকে মুক্তি দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আজ আইপিএলের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ ২৭৭ রানের রেকর্ড গড়েছে তারা।
আজ হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে তুলোধুনো করে রেকর্ডটি গড়েছেন স্বাগতিক হায়দরাবাদ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই মুম্বাইয়ের বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দিতে থাকেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও ট্রাভিস হেড। ওপেনিংয়ে মাত্র ৪.১ ওভারে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। অবশ্য ১১ রানে আউট হওয়া আগারওয়ালের অবদান সামন্যই ছিল।
আগারওয়ালের বিদায়ের পর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মাত্রা যায় বেড়ে। দুইয়ে নেমে হায়দরাবাদের হয়ে সবচেয়ে কম বলে ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন অভিষেক শর্মা। ১৬ বলে ফিফটি করেছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ২৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৭ ছক্কা ও ৩ চারে। অন্যদিকে হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ফিফটি তুলে নিয়েছেন ট্রাভিস হেডও। ২৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেছেন অজি ওপেনার।
অভিষেক–হেড বিদায়ের পর বিধ্বংসী ইনিংস খেলা শুরু করেন দুই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার এইডেন মার্করাম ও হেনরিখ ক্ল্যাসেন। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে দলের হয়ে রেকর্ড ১১৬ রানের অবিচ্ছেদ জুটি গড়েন। মার্করামের ২৮ বলে ৪২ রানের ইনিংসের বিপরীতে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন ক্ল্যাসেন। উইকেটরক্ষক ব্যাটার ক্ল্যাসেন ৩৪ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৭ ছক্কা ও ৪ চারে। এমন বিধ্বংসী ইনিংস খেলে যেন সর্বশেষ ম্যাচের জ্বালা মেটালেন এই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে দলকে জেতাতে গিয়েও শেষে ৪ রানের পরাজয় নিয়ে যে মাঠ ছেড়েছেন।
হায়দরাবাদের ব্যাটারদের ঝড়ের কোপটা পড়েছে কিয়েনা মাফাখার ওপর। দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপের পেসার আইপিএলের অভিষেক ম্যাচেই ৪ ওভারে ৬৬ রান দিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৭ রান দিয়েছেন আরেক দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার জেরাল্ড কোয়েৎজে।
আইপিএলের আগের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরটি ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ২০১৩ আইপিএলে পুনের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৬৩ রানের রেকর্ড গড়েছিল তারা। সেদিন ৬৬ বলে ১৭৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন ক্রিস গেইল।