নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঘরের মাঠে যেখানে জিম্বাবুয়েকে পেলেই সেঞ্চুরি করাটা ‘অভ্যাস’ বানিয়ে ফেলেছেন, সেখানে তাদের মাঠে তিন অঙ্ক ছোঁয়া বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের কাছে মরীচিকা! আফ্রিকার দেশটিতে টেস্টে এখনো সেঞ্চুরির দেখা পাননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান। জিম্বাবুয়ের মাঠে সর্বোচ্চ ৯৮ রান করা মোহাম্মদ আশরাফুল বলছেন, এবার টেস্টে বাংলাদেশের অন্তত তিন–চারজন সেঞ্চুরি করবেন!
জিম্বাবুয়ের মাঠে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান আশরাফুলই। জাতীয় দল থেকে দূরে সরে যাওয়া এই ব্যাটসম্যান ৫ টেস্টে ২ ফিফটিতে করেছেন ২৯৭ রান। জিম্বাবুয়েতে ৯৮ রানের ইনিংসটি তিনি খেলেছিলেন ২০০৪ সালে, জিম্বাবুয়েতে খেলা নিজের প্রথম টেস্টেই। হারারেতে টেস্টটা জিম্বাবুয়ে জিতেছিল ১৮৩ রানে। গত ১৭ বছরে জিম্বাবুয়েতে গিয়ে আর কোনো ব্যাটসম্যান আশরাফুলের এই ইনিংস পেরোতে পারেননি বলেই সেঞ্চুরির দেখা আর মেলেনি। এ তালিকায় দুইয়ে থাকা মুশফিকুর রহিম যেতে পেরেছেন ৯৩ রান পর্যন্ত।
২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার শুরুর ছয়–সাত বছরে একটু ঘন ঘন যাওয়া হলেও এখন জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ যাচ্ছে লম্বা বিরতিতে। ২০১৩ সালের পর এবার প্রথম পূর্ণাঙ্গ সফরে খেলতে আফ্রিকার দেশটিতে গেলেন সাকিব–তামিমরা। এবার টেস্ট দলের ১৮ সদস্যের ১৩ জনেরই এটি প্রথম জিম্বাবুয়ে সফর। তবু এবারের দলকেই সর্বশেষ (২০১৩) দলের চেয়ে এগিয়ে রাখছেন আশরাফুল। বাংলাদেশের সাবেক এ অধিনায়ক আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘এবার দলে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। সেঞ্চুরির খরা তাই কাটবেই।’
জিম্বাবুয়েতে কীভাবে আসবে সেঞ্চুরি, কীভাবে খেলতে হবে লম্বা ইনিংস—কিছু পরামর্শ দিয়েছেন আশরাফুল। অবশ্য পরামর্শ নতুন কিছু নয়। টেস্ট ক্রিকেট মানেই বল ছেড়ে বোলারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া আর তাঁদের ক্লান্ত করে তোলা। নতুন বলটাকে পুরোনো করে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ করে দেওয়া। সহজ সূত্র মনে করিয়ে আশরাফুল বললেন, ‘বড় ইনিংস গড়তে হলে প্রচুর বল ছাড়তে হবে। ধৈর্য রাখতে হবে খারাপ বল পেতে। খারাপ বল পেলেই সেটার প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে হবে।’
কাল থেকে জিম্বাবুয়ে নির্বাচিত একাদশের বিপক্ষে শুরু হওয়া দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন সাকিব–নাজমুল–সাইফরা দারুণ ব্যাটিং করে ইঙ্গিত দিয়েছেন ভালো কিছু করার। এখন ৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সফরের একমাত্র টেস্টে প্রস্তুতিটা কাজে লাগাতে পারলেই হয়!