ক্রীড়া ডেস্ক
২৪ রানে নেই ৪ উইকেট, তার সঙ্গে ৩০ রান জমা হতেই অস্ট্রেলিয়ার স্কোরটা দাঁড়ায়—৫ / ৫৪। সেই ধাক্কা সামলে অজিরা ৯ উইকেটে ২৮৯ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করবে, সেটিই অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকতে পারে। তবে ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম দিন থেকে যেভাবে রোমাঞ্চ ছড়াতে শুরু করেছে, অজিদের এভাবে ঘুরে দাঁড়ানোটা খুব বেশি অবিশ্বাস্য মনে হওয়ার নয়।
আগেরদিন প্রায় একই দৃশ্য দেখেছে গ্যাবার দর্শকেরা। হুটহাট টপ-অর্ডারদের আসা-যাওয়া। ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারানো পর হজ কেভাম হজ (৭১) ও জশুয়া ডা সিলভার (৭৯) জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম দিন পার করেছিল ৮ উইকেটে ২৮৮ রান। তার সঙ্গে আজ দ্বিতীয় দিনে ২৩ রান যোগ হতেই প্রথম ইনিংস শেষ সফরকারীদের।
ইনিংসের শুরুতেই স্টিভেন স্মিথকে (৬) হারিয়ে বিপর্যয়টা শুরু অজিদের। ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ের পর ওপেনিংয়ে ওঠে আসা এই ডানহাতি ব্যাটার এবারও ব্যর্থ। আগেরদিন তোপ দাগিয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। আজ তোপ দাগালেন কেমার রোচ ও আলঝারি জোসেফ। দুই ক্যারিবীয় পেসার নিয়েছেন ৭ উইকেট, তার চারটি জোসেফের। দলীয় ৬,১১ ও ২৪ রানে চার উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ দুই বলে ক্যামেরুন গ্রিন (৮) ও ট্রাভিস হেডকে (০) ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের আশাও জাগান রোচ।
তবে দ্বিতীয় সেশনে ওপেনার খাজাকে নিয়ে প্রতি আক্রমণ করেন উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে গড়েন ৯৯ বলে ৯৬ রানের জুটি। যার মধ্যে ক্যারির রান ৪৯ বলে ৬৫। আগেরদিন আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা খাজা অবশ্য স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাট করে উইকেটে টিকে ছিলেন। তৃতীয় সেশনে তিনি আরেকটি বড় জুটি গড়েন অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সঙ্গে। অষ্টম উইকেটে তাদের ১০৭ বলে ৮৬ রানের জুটিতেই অজিদের ২০০ পেরোনো সংগ্রহ।
অভিষিক্ত কেভিন সিনক্লেয়ারের ওভারে ১৩১ বলে ৭৫ রানে খাজা ফিরলেও ৭৩ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন কামিন্স। আগেরদিন কেন আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন, সেটিই এই ইনিংসে আরেকবার প্রমাণ করে দিলেন তিনি। স্কোর আরেকটু বড় করার সুযোগ থাকলেও সেটি করেনি করেনি অস্ট্রেলিয়া। ২৮৯ রানে নাথান লায়ন (১৯) জোসেফের চতুর্থ শিকার হয়ে ফেরার পর ২২ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করে চমকে দেয় অজিরা। যে উদ্দেশ্যে এই ঘোষণা, সেখানে সফলও হয়েছে তারা। দিনের শেষ দিকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩ রান করেছে উইন্ডিজ। তাদের লিড দাঁড়িয়ে ৩৫ রান।