স্টিভ স্মিথকে সর্বশেষ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ২০১৮ সালে। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কলঙ্কিত টেস্টটাই শেষ হয়ে ছিল অধিনায়ক স্মিথের। এবার অ্যাশেজের আগে টিম পেইনের সরে দাঁড়ানোয় আবার তাঁকে অধিনায়ক করার কথা উঠেছিল। তবে বাধা হয়েছিল বল টেম্পারিং কাণ্ডে কলঙ্কিত কেপটাউন টেস্ট।
প্রায় সাড়ে তিন বছর পর স্মিথ আবার অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামতে যাচ্ছেন। তবে যেভাবে অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন সেটা বোধ হয় স্মিথ নিজেও চাননি। আজ থেকে শুরু অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে স্বাভাবিকভাবে প্যাট কামিন্সকে অধিনায়ক করে গতকালই একাদশ জানিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে অ্যাডিলেডে মাঠে নামতে পারছেন না কামিন্স। ফলে অধিনায়কের দায়িত্বভার উঠেছে স্মিথের কাঁধে।
দীর্ঘ ৬৫ বছর পর পেসার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব পেয়ে প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত করেছিলেন কামিন্স। দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে মাঝখানে বাগড়া বাঁধল যথাযথ নিয়ম মেনেই রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া। বুধবার রাতে দুই সতীর্থ মিচেল স্টার্ক ও নাথান লায়নের সঙ্গে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যান কামিন্স। যেখানে তাঁর পাশের টেবিলে পরিবেশকের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির করোনা ধরা পড়ে। ব্যাপারটা জানার পর সঙ্গে সঙ্গে রেস্টুরেন্ট ছাড়েন কামিন্স। বিষয়টা কর্তৃপক্ষকেও জানান তিনি।
তৎক্ষণাৎ করা পিসিআর টেস্টে নেগেটিভই আসে কামিন্সের। তবু সতর্কতা হিসেবে তাঁকে সাত দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। এরপর নেগেটিভ আসলে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন। কামিন্সের সঙ্গে স্টার্ক ও লায়ন সেই রেস্টুরেন্টে গেলেও, তাঁরা বসেছিলেন বাইরে। এমন অকস্মাৎ ঘটনায় স্মিথকে অধিনায়ক করে নতুন একাদশ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কামিন্সের জায়গায় একাদশে এসেছেন পেসার মাইকেল নেসার। স্মিথের সহকারী হিসেবে থাকবেন প্রথম টেস্টের নায়ক ট্রাভিস হেড।