ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রিকেট মহাকাশে গত ৪ মার্চ আচমকা অঝোর বৃষ্টি নামে। অবিশ্বাস আর হৃদয় ভাঙার যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে বিশ্ব। খেলাটির অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র শেন ওয়ার্ন সেদিন সবাইকে চমকে দিয়ে নীরবে-নিভৃতে খসে পড়েন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাজার উইকেটের মালিক, লেগ স্পিন শিল্পের সবচেয়ে নিখুঁত শিল্পী ওয়ার্ন ৫২ বছর বয়সে মৃত্যুদূতের ফ্লিপারে হন বোল্ড। সেটিও নিজ জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়া থেকে ৭ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপে।
তবে ওয়ার্ন সবকিছুর ঊর্ধ্বে রেখেছেন ক্রিকেটকে। এই খেলাটাই তো তাঁকে জগদ্বিখ্যাত বানিয়েছে। যা দিয়ে গড়েছিলেন ৪৩২ কোটি ৭২ লাখ টাকার সম্পদ। বিলাসবহুল জীবন যাপন আর শখ-আহ্লাদ পূরণে আর কী চাই?
ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে গাড়িগুলো ব্যবহার করতেন ওয়ার্ন। আর এই গাড়ি নিয়েই ‘নারী পটানোর’ কাজ করতেন।
২০১০ সালে লিজ হার্লির সঙ্গে সম্পর্ক থাকা অবস্থাতেই অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হন ওয়ার্ন। অস্ট্রেলিয়ার রাস্তায় একদিন ঘুরতে ঘুরতে সোনালি চুলের এক নারীর দেখা পান। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামান তিনি। ওই নারী শুরুতে ওয়ার্নকে চিনতে না পারলেও গাড়ির জানালা খুলতেই বিস্ময়ের হাসিতে ফেটে পড়েন। পরে তাঁকে পাশের আসনে বসিয়েই ছাড়েন চালক ওয়ার্ন।
মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে এ রকম কাণ্ড অহরহ ঘটিয়েছেন ওয়ার্ন। ক্রিকেট কিংবদন্তি হওয়ায় মেয়েরাও ‘না’ বলতে পারেননি।
সে দিন অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও গত মাসে বিলাসী বাংলোতে এসে মৃত্যুদূত নিয়ে গেছেন লেগ স্পিন দূতের প্রাণ।
কিংবদন্তি ওয়ার্নকে শ্রদ্ধা জানাতে শেষকৃত্য সম্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘অ্যালিসন মঙ্কহাউজ’ও তাঁর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সের বদলে এনেছিল গাড়িতে করে।