বিংশ শতাব্দীর সেরা ডেলিভারিটা তাঁর হাত থেকেই বেরিয়েছিল। লেগ স্পিন যদি হয় শিল্প, সেটির নিখুঁত শিল্পী তিনি। তবে স্ত্রীর কাছে কখনোই নিখুঁত হতে পারেননি শেন ওয়ার্ন। প্রতারণা করতে গিয়েও পার পাননি। শেষমেশ তাঁর সংসারটাই ভেঙেছে।
অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ওয়ার্নের ক্রিকেট ক্যারিয়ার যতটা বর্ণিল, মাঠের বাইরের জগৎ ততটাই কলঙ্কে মাখা। বলটাকে নিজের ইচ্ছে মতো ঘোরানোর পাশাপাশি অসংখ্য নারীকেও ঘুরিয়েছেন। একজনকে ছেড়ে আরেকজনকে বানিয়েছেন শয্যা সঙ্গী। কিন্তু কোথাও থিতু হতে পারেননি। ‘শেন’ নামে নিজের নতুন তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে এসব কাহিনি।
ওয়ার্নের ধোঁকাবাজি ধরা পড়ে সে সময়ই। সিমোন জানতে পারেন, একসঙ্গে দুই পরকীয়া চালাচ্ছেন ওয়ার্ন। একজন তিন সন্তানের মা ও অন্যের স্ত্রী কেরি কোলিমোর, আরেকজন ছাত্রী লরা সেয়ার্স।
অ্যাশেজ চলাকালীন স্ত্রী-সন্তান চলে যাওয়ায় মুষড়ে পড়েন ওয়ার্ন। এ ব্যাপারে ওয়ার্ন তাঁর তথ্যচিত্রে বলেছেন, ‘সিমোন আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেই আমি মদ্যপ হয়ে পড়ি। প্রতি রাতেই বারে গিয়ে মদপান করতাম আর হোটেলে ফিরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতাম। সন্তানদের কথা খুব মনে পড়ত। ভাবতাম, ওদের সঙ্গে আর কোনো দিন দেখা হবে না।’
স্ত্রী সিমোন চলে যাওয়ার পর ওয়ার্নের জীবনে আসেন দুই মডেল কোরাইল এইসোলজ ও এমা কিয়ারনি। মানে, ওয়ার্ন বেশির ভাগ সময়ই একসঙ্গে একাধিক নারীর প্রেমে মজেছেন। এ দুই মডেলের সঙ্গে ৭০৮ টেস্ট উইকেট শিকারির ‘লীলাখেলা’ অবশ্য বেশি দিন জমেনি।
সিমোনের সঙ্গে পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদের পর ব্রিটিশ মডেল অভিনেত্রী লিজ হার্লিকে ফাঁদে ফেলেন ওয়ার্ন। ২০১১ সালে বাগদানও সারেন তাঁরা। তবে দুই বছর যেতেই এ জুটিরও ভাঙন ধরে।
ওয়ার্নের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে সিমোন হার্লিকেই দায়ী করেছেন। তথ্যচিত্রে তিনি হার্লিকে স্বার্থপর ও অপরিণত নারী উল্লেখ করে বলেছেন, ‘সে আমার পরিবারকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করেছে।’