এভাবেও ম্যাচ হারা যায়! ওপেনিং জুটিতে ১২১ রান তুলেও শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ৮ রানে হেরেছে সফরকারীরা। রোমাঞ্চকর ম্যাচে জিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকেরা।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলঙ্কা। ড্যারিল মিচেল ও মিচেল ব্রেসওয়েলের ফিফটিতে ৮ উইকেটে ১৭২ রান তোলে কিউইরা। ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৮ উইকেটে ১৬৪ রানে থেমেছে লঙ্কানদের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের তাণ্ডবে সহজ জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। ১২১ রান তোলেন জুটিতে। ১৩.৩ ওভারে জ্যাকব ডাফি ব্রেক-থ্রু এনে দেন নিউজিল্যান্ডকে। ৩৬ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন কুশল। তখন জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ৩৯ বলে ৫২ রান। হাতে ৯ ৯ উইকেট।
কিন্তু ডাফি ওই ওভারেই খেলার গতিপথ বদলে দেন। কুশলের পর শূন্য রানে ফেরান কুশল পেরেরা ও কামিন্দু মেন্ডিসকে। একদিকে সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত। আরেক প্রান্তে ব্যাট চালিয়ে খেলেন নিসাঙ্কা। কিন্তু সেভাবে সঙ্গ পাননি কারও। দুই ওপেনারের পর শ্রীলঙ্কার আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
চরিত আসালাঙ্কা ৩, ভানুকা রাজাপাকসে ৮, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৫ রানে আউট হলে, কার্যত তখনই ম্যাচ শেষ হাতছাড়া হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার। কিছুটা আশা জাগিয়ে রাখেন নিসাঙ্কা। কিন্তু ১৯ তম ওভারে তাঁর নিশ্চিত ছক্কাটাই বাঁচিয়ে অসাধারণ ক্যাচ নেন টিম রবিনসন। ৬০ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৯০ রানে ফেরেন নিসাঙ্কা। শেষ দুই ওভারে জিততে দরকার ছিল ২০ রান। সেটি আর পারেনি শ্রীলঙ্কা। থেমে যায় ১৬৪ রানে। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ম্যাচসেরা ডাফি। ম্যাট হেনরি ও জাকারি ফোয়াকস নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
তার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯.৫ ওভারে ৬৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন মিচেল ও ব্রেসওয়েল। দুজনে যোগ করেন ৬০ বলে ১০৫ রান। মিচেল ৪২ বলে ২ ছক্কা ও ৪টি চারে করেছেন ৬২ রান। ৩৩ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৫৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন ব্রেসওয়েল। কিউইরা তোলে ৮ উইকেটে ১৭২ রান। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে হাসারাঙ্গা, বিনুরা ফার্নান্দো ও মহেশ তিকসানা ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।