ইংল্যান্ডের ১৬ তম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামার সময় ‘১০০’ শুধুই একটা সংখ্যা বলে নিজের অনুভূতি জানিয়েছিলেন বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের অধিনায়কের কাছে শুধুই সংখ্যা হলেও জনি বেয়ারস্টোর জন্য ‘১০০’ অমূল্য কিছু।
ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট খেলতে নামার আগে তাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন বেয়ারস্টো। হওয়াটাই যে স্বাভাবিক। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের এমন দিনে এই সৌভাগ্য কজনের কপালে জুটে। তবে ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটারে আবেগের বিষয়টা ভিন্ন। এমন স্মরণীয় মুহূর্তের জন্য বেয়ারস্টোকে যতটা ত্যাগ তিতিক্ষা করতে হয়েছে তার চেয়ে বেশি সংগ্রাম করতে হয়েছে যে তাঁর মা জানেট বেয়ারস্টোকে। তাঁর বাবা ইংল্যান্ডের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার ডেভিড বেয়ারস্টোর মৃত্যুর পর অনেক লড়াই করে তাঁকে ক্রিকেটার বানিয়েছেন মা। ব্রেস্ট ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে জেতে সেই মহীয়সী মাকে শততম টেস্ট উৎসর্গ করেছেন বেয়ারস্টো।
অনিন্দ্যসুন্দর ধর্মশালায় আগামী বৃহস্পতিবার খেলতে নামার আগে তাই মায়ের কঠিন লড়াইকে স্মরণ করেছেন বেয়ারস্টো। তিনি বলেছেন, ‘যখন আমি খেলি তখন বাবার কথা মনে পড়ে। তবে তার চেয়েও বেশি মনে পড়ে মায়ের। আমাদের সবকিছু ঠিক রাখতে কত কঠিন পরিশ্রমই না করেছেন তিনি। আমাদের পরিবার হিসেবে একসঙ্গে রাখতে। তিনি আমার জীবনের চালিকা শক্তি।’
ইংল্যান্ডের ১৭ তম ক্রিকেটার হিসেবে যখন মাঠে লড়বেন তখন তাঁর বাবা দূর থেকে খেলা দেখবেন বলে আশা করছেন বেয়ারস্টো। তিনি বলেছেন, ‘আশা করি, বিয়ার হাতে সেখানে (ধর্মশালা) থাকবেন তিনি। গর্ব নিয়ে নিচে তাকাবেন এবং সপ্তাহটা উপভোগ করবেন।’
শৈশব থেকে দীর্ঘতম সংস্করণের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন বলেই জানিয়েছেন বেয়ারস্টো। ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটার বলেছেন, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে দেখে বড় হইনি। বড় হয়েছি টেস্ট ক্রিকেট দেখতে দেখতে। আমার সবকিছুতেই ছিল এই সংস্করণ।’