ক্রীড়া ডেস্ক
বর্তমান ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত শব্দ ‘বাজবল’। ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকসের মস্তিষ্কপ্রসূত এ ধারণা টেস্ট ক্রিকেটেই বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে। সাদা পোশাকেও টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলা যায় সেটি প্রমাণ করে দিয়েছেন ইংলিশরা।
তবে এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কপিরাইট বা স্বত্ব ইংল্যান্ডের নেই জানিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা ক্রিস গেইলের। স্বঘোষিত ‘ইউনিভার্স বসের’ জোর দাবি, ক্যারিয়ার শুরুর কয়েক বছর আগের থেকে তিনি সবচেয়ে ‘বিগ-হিটার’ হিসেবে পরিচিতি পান।
টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বাজবলের মূলমন্ত্র হলো ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে রান বানানো। সেটিই তারা দেখিয়ে আসছে। তবে ভারতের চিরায়ত স্পিন-সহায়ক উইকেটে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ম্যাককালাম-স্টোকস জুটি। রাজকোট টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ইংলিশদের ব্যাটিং অর্ডার যেভাবে গুঁড়িয়ে গেছে, সেটি আবারও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে বাজবলকে।
তবে ইংলিশ ব্যাটাররা রানের দেখা না পেলেও উল্টো ‘জয়সবল’ খেলে উল্টো সবাইকে চমকে দিয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। পেয়েছেন টানা দুই টেস্ট দ্বিশতক। এই ২১ বছর বয়সীর ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ গেইলও। তবে রাজকোট টেস্ট শেষে যখন ইংল্যান্ড ওপেনার বেন ডাকেট জানান, তাদের বাজবলই জয়সওয়ালকে অনুপ্রাণিত করেছে। রাজকোট টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৫১ বলে ১৫৩ রানের ইনিংস খেলা ডাকেট বলেন, ‘যখন আপনি প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের এভাবে খেলতে দেখেন, তখন মনে হয় আমাদের কিছুটা কৃতিত্ব নেওয়া উচিত। অন্যরা যেভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলে তার থেকে তারা আলাদাভাবে খেলছে।’
তবে ডাকেটের এই কথার সঙ্গে একমত নন গেইল। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি জয়সওয়ালের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আমি মনে করি না, সে (জয়সওয়াল) ইংল্যান্ড থেকে শিখেছে। খেলার এই ধরনটা সে উন্নতি করেছে তার কোচ ও পরামর্শক (জওয়ালা সিং) থেকে। সে সত্যিই অদ্বিতীয়।’
পাশাপাশি বাজবল প্রসঙ্গে গেইল গতকাল লন্ডন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে এএফপিকে আরও বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা হচ্ছে, এমনকি ক্রিস গেইল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার আগেই এ দৃশ্য দেখা গেছে।’