ক্রীড়া ডেস্ক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন বিশ্বের দ্রুততম মানব উসাইন বোল্ট। অলিম্পিকের আটবারের স্বর্ণপদক জয়ী কিংবদন্তি অ্যাথলেটকে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত করে যেন সত্যিকার অর্থেই নিজেদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আইসিসি।
ক্রিকেটকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে প্রথমবারের মতো কোনো সংস্করণের বিশ্বকাপ ২০ দলের আয়োজন করছে আইসিসি। আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে বোল্টকে অ্যাম্বাসেডর করে বড় চমকই যেন দিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপের অংশ হতে পেরে রোমাঞ্চিত বোল্ট। ক্রিকেট খেলে শৈশবে বড় হওয়া বিশ্বের দ্রুততম মানব তাই বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর হওয়ায় আমি রোমাঞ্চিত। ক্রিকেট আমার জীবনের একটা অংশ, খেলাটি সব সময় আমার হৃদয়ের বিশেষ এক জায়গা নিয়ে আছে। মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে নিজেকে সম্মানিতবোধ করছি। বিশ্বকাপে শক্তি ও উদ্যম নিয়ে কাজ করতে এবং সারা বিশ্বে খেলাটি ছড়িয়ে দিতে উন্মুখ আছি।’
২০১৭ সালে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডকে বিদায় জানান বোল্ট। বিদায়ের আগে নিজেকে ক্রীড়াঙ্গনের কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন জ্যামাইকান স্প্রিন্টার। ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকে দিয়ে শুরু করা মহাতারকা বার্লিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার শেষ করেন মাত্র ৯.৫৮ সেকেন্ডে। তাঁর সেই রেকর্ড এখনো অক্ষত রয়েছে। এ ছাড়া তিনটি অলিম্পিকে ১০০ এবং ২০০ মিটার স্বর্ণ জেতা একমাত্র অ্যাথলেটও তিনি।
বোল্টের অ্যাম্বাসেডর হওয়ার দিনই সামাজিক মাধ্যমে একটা ভিডিও প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেই ভিডিওতে বোল্টের দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে জানিয়েছেন ক্রিস গেইল। দুই ভুবনের দুই কিংবদন্তিই জ্যামাইকার সন্তান। এক চ্যারিটি টুর্নামেন্টে গেইলকে আউট করেছিলেন বোল্ট। সেটার শোধ নিতেই কিংবদন্তি স্প্রিন্টারকে ট্র্যাকে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন গেইল। এটা শোনার পর বোল্ট বলেন, ‘আমরা সবাই জানি ক্রিস দৌড়াতে পারে না। আমরা দেখেছি সে দ্রুত সিঙ্গেল নিতে পারে না।’