ক্রীড়া ডেস্ক
বিরাট কোহলি যেন ‘খাল কেটে কুমির’ এনেছেন। এমনিতেই প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের কত যে তাতিয়ে দিয়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। তবে স্যাম কনস্টাসকে ধাক্কামারার ঘটনা যে ছাড়িয়ে গেছে সব কিছুকেই। সমালোচনা তো হচ্ছেই, এমনকি ব্যক্তিগতভাবে কোহলির ওপর করা হচ্ছে আক্রমণ।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) আজ চলছে অস্ট্রেলিয়া-ভারত চতুর্থ টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলা। বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনই অস্ট্রেলিয়ার অভিষিক্ত তরুণ ক্রিকেটার কনস্টাসকে ধাক্কা মারার পর থেকেই কোহলি সমালোচিত। এবার অস্ট্রেলিয়ার আরেক সংবাদপত্র ‘দ্য সানডে টাইমস’ গতকাল তাদের পেছনের পাতায় একটি খবরের শিরোনাম দিয়েছে, ‘বিরাট, আমি তোমার বাবা।’ সেখানে কোহলির ছবি না থাকলেও দেওয়া হয়েছে কনস্টাসের ছবি। শিরোনামের নিচে আরও লেখা, ‘তরুণ ক্রিকেটার কোহলি ও তাঁর ভারতকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে ফেরাতে সাহায্য করেছে।’
‘দ্য সানডে টাইমসের’ আগে গত ২৭ ডিসেম্বর কোহলিকে লক্ষ্য করে সংবাদ করেছিল অস্ট্রেলিয়ার অন্য এক সংবাদপত্র। ‘দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান’ পত্রিকা আজকের পেছনের পাতায় কোহলিকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র ছেপেছে। ভারতীয় ক্রিকেটারের নাকের ওপর লাল রঙের বল আঁকা হয়েছে, যে সাজে সার্কাসে জোকাররা অভিনয় করে থাকে। শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল, ‘ভাঁড় কোহলি।’ সেই শিরোনামের নিচে ছোট করে লিখেছিল, ‘স্বপ্নের মতো টেস্ট অভিষেক হওয়া এক তরুণ ক্রিকেটারকে বাজেভাবে ধাক্কা দিয়ে ক্রীড়া চেতনা কম এক ভারতীয় ভীষণ সমালোচিত।’
কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় আইসিসির আচরণবিধির (সিওসি) ২.১২ অনুচ্ছেদ অনুসারে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে কোহলিকে। ভারতীয় ব্যাটারের নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে। এই আইন বলছে, ‘ক্রিকেটে অহেতুক ধাক্কাধাক্কি ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ। সীমা পেরিয়ে খেলোয়াড়েরা যদি ইচ্ছে করে নিয়ম ভঙ্গ করেন, বেপরোয়া হয়ে কোনো খেলোয়াড় বা আম্পায়ারের কাঁধে ধাক্কা মারা যাবে না।’ সিওসির ২.১২ অনুচ্ছেদের অধীনে নিয়ম লঙ্ঘন কতটা গুরুতর, সেটার শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে: ১.কোনো বাঁধা ছাড়াই যেকোনো পরিস্থিতিতে ইচ্ছে করে ধাক্কা মারা, ২. কতটুকু বল প্রয়োগ করে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, ৩.যাঁর সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে, তিনি কতটা ব্যথা পেয়েছেন, ৪. যিনি ধাক্কা দিয়েছেন। তবে এই শাস্তি কম হয়ে গেছে বলে মনে করেন মার্ক ওয়াহ, রিকি পন্টিংয়ের মতো ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কোহলিকে এমন শাস্তি দেওয়ায় ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার ওপর ক্ষোভ ঝেরেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: