ভারতের এভাবে ঘুরে দাঁড়ানোকে অসাধারণ বলতেই হবে। বেঙ্গালুরু টেস্ট শুরুর আগে কোচ গৌতম গম্ভীর বলেছিলেনন, ‘আমরা এমন দল হতে চাই যারা একদিন ৪০০ রান করতে পারে এবং ড্র করতে দুই দিন ব্যাট করতে পারে।’ প্রথম ইনিংসে লজ্জার ৪৬ রানে অলআউট হওয়ার পর আজ যেভাবে ব্যাট করলেন ভারতীয়রা, সেটি গম্ভীরের দর্শনেরই তো প্রতিফলন।
৩ উইকেটে ২৩১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন পার করেছে ভারত। তারপরও বলা যাচ্ছে স্বাগতিকেরা শঙ্কামুক্ত। এখনো যে তারা ১২৫ রানে পিছিয়ে। আগামীকাল চতুর্থ দিন পুরো কাটিয়ে যদি বড় লক্ষ্য দিতে পারে তবেই হয়তো ড্র বা জয়ের আশা করতে পারেন রোহিত শর্মারা। তবে দিন শেষের আগে বিরাট কোহলির (৭০) হারানো কপাল কুঁচকে দিয়েছে ভারতের।
চা বিরতির আগে দ্বিতীয় সেশন শুরু করে ভারতীয় ব্যাটাররা এবার আর ভুল করেননি। যশস্বী জয়সওয়ালের (৩৫) সঙ্গে অধিনায়ক রোহিত (৫২) ওপেনিংয়ে গড়েন ৭২ রানের জুটি। দুজনকেই ফিরিয়েছেন স্পিনার অ্যাজাজ প্যাটেল। এরপর তৃতীয় উইকেটে সরফরাজ খানের (৭০) সঙ্গে কোহলির ১৩৬ রানের জুটি। দিনটা যখন দুজনে নিশ্চিন্তে পার করে দেওয়ার চিন্তা করছিলেন তখনই ব্রেকথ্রু এনে দেন আরেক স্পিনার গ্লেন ফিলিপস। ইনিংসের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে হতাশ হয়ে ফেরেন কোহলি। বাঁচতে পারেননি রিভিউ নিয়েও।
ফেরার আগে নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছেন কোহলি। ভারতের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে পেয়েছেন টেস্ট ৯ হাজার রান। লড়াই বাঁচিয়ে রাখতে আগামীকাল সরফরাজকেই আরেকটি বড় জুটি গড়তে হবে। ৮৯.৭৪ স্ট্রাইরেটে ব্যাট করেছেন তিনি। ভারতও চেষ্টা করেছে রানরেটে বাড়িয়ে খেলতে।
তার আগে রাচিন নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে থামে ৪০২ রানে। ২২ রানে দিন শুরু করা রাচিন রবীন্দ্র পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ১৩৪ রানে তিনি থামেন কুলদীপ যাদবের বলে। তাঁর সঙ্গে দিন শুরু করা ড্যারিল মিচেল সকালে ফিরলেও রাচিনকে দারুণ সঙ্গ দেন টিম সাউদি। ফিফটি পেয়েছেন কিউই পেসার। করেছেন ৭৩ বলে ৬৫ রান। ৩ উইকেটে ১৮০ রানে দিন শুরু করা সফরকারীদের ইনিংস শেষ হয় রাচিন থামলে।
বেঙ্গালুরুতে আজ ছিল স্পিনারদের দাপট। তার মধ্যে কিউইদের প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ ও রবীন্দ্র জাদেজা।