বৃষ্টির কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে নিশ্চিত করেছে অজিরা। সেমিফাইনালে গ্রুপের দ্বিতীয় দল কারা যাচ্ছে, সেটি জানা যাবে আজ। দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের সমান ৩ পয়েন্ট করে।
প্রোটিয়াদের সেমির সমীকরণ পানির মতো সহজই। সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণ থাকবে আফগানদেরও। তবে সেটি হবে ‘আকাশ-কুসুম’ সমীকরণ! ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলে এমনিতেই ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানিস্তানকে যদি সেমিতে যেতে হয়, ইংলিশদের বিপক্ষে হারতেই হবে প্রোটিয়াদের। হারও যেমন তেমন নয়—আগে ব্যাটিং করলে বিশাল রান ব্যবধানে হারতে হবে। নেট রান রেটে। প্রোটিয়াদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আফগানরা।
আফগানিস্তানের নেট রান রেট -০.৯৯০, সেমির আশা প্রায় নিভু নিভু। দক্ষিণ আফ্রিকার নেট রান রেট +২.১৪০। এ অবস্থায় আফগানিস্তান সেমির যোগ্যতা অর্জন করতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অন্তত ২০৭ রানে হারতে হবে ইংল্যান্ডের কাছে (যদি ৩০১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামে)। ইংল্যান্ডকে পুরো ৫০ ওভারই ব্যাটিং করতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাটিং করলে সুযোগটা আরও বেশি থাকবে সেমিতে যাওয়ার। আফগানদের সুযোগ আছে এখানেও। এ জন্য প্রোটিয়ারা যে লক্ষ্য দেবে, সেটি খুব দ্রুত তাড়া করতে হবে ইংলিশদের। ৫০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হলে ইংল্যান্ডকে ৫.৪ ওভারের মধ্যে রান তাড়া করতে হবে। ৭৫ রান হলে ৭.৬ ওভারে তাড়া করতে হবে। ১০০ রান হলে ৯.৬ ওভারে তাড়া করতে হবে। ১২৫ রান হলে ইংল্যান্ডকে ১১.৫ ওভারে তাড়া করতে হবে।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা এই সমীকরণ অনায়াসেই মেলানোর সামর্থ্য রাখে। কিন্তু দলটা তারা বলেই ভয়। দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক তকমা তো ‘চোকার্স’। দারুণ ছন্দ থেকেও যেকোনো মুহূর্তে ভেঙেও পড়ার অনেক নজির রয়েছে তাদের। সবশেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখা গেছে সেটি।