সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় দিনেই মাঠে নামছে ভারত-পাকিস্তান। রাজনৈতিক বৈরিতায় দুই দেশের সম্পর্ক অনেক দিন ধরেই শীতল হয়ে আছে। এই বৈরিতা আছড়ে পড়েছে দুই দেশের ক্রিকেটেও। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের লড়াই দেখতে এখন অপেক্ষা করতে হয় আইসিসি ইভেন্টের। আইসিসিও প্রতিটি টুর্নামেন্টে যথাসাধ্য চেষ্টা করে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ রাখার।
তাতে অবশ্য শুধু আইসিসির ক্রিকেট ভাবনা আর দর্শক মনোরঞ্জন নয়, এই ম্যাচকে ঘিরে বাণিজ্যিক ব্যাপারও জড়িয়ে আছে।
মাঠের লড়াইয়ে আগের সেই উত্তাপ কমে এলেও দর্শকের চাহিদায় এখনো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবকিছুকে ছাড়িয়ে। আরও একবার সেই প্রমাণ মিলেছে। দুবাইয়ে হতে যাওয়া ম্যাচটির টিকিট বাজারে ছাড়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।
দুই দেশের সাবেকরাও এরই মধ্যে কথার লড়াইয়ে নেমে গেছেন। তাতে অবশ্য ভারতকেই এগিয়ে রাখছেন সবাই। আইসিসির টুর্নামেন্টে দুই দলের পরিসংখ্যানও বিরাট কোহলির দলকে এগিয়ে রাখছে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে মোট ১২ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। একবারও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি পাকিস্তানের। তবে এবার যেন আটঘাট বেঁধে নেমেছে বাবর আজমের দল। ম্যাচের এক দিন আগেই গতকাল শনিবার ১২ জনের দল ঘোষণা করে দিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের জন্য এসব যদি আগাম অনুপ্রেরণা হয়, ভারতের সামনে সোনালি অতীত তো আছেই। বিরাট কোহলির দলকে মানসিকভাবে চাঙা রাখতে চেষ্টার কমতি রাখছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিসিআই)। খেলোয়াড় হিসেবে না থাকলেও কোহলি-পান্ডিয়াদের মাঠের বাইরে উজ্জীবিত করতে থাকছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। পাকিস্তানকে হারানোর টোটকা ধোনির চেয়ে ভালো আর কে জানেন? বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২ জয়ের সাতটিতেই যে মাঠে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতের সবচেয়ে সফল এই অধিনায়ক।
তবে ভারত-পাকিস্তান দুই দলের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বোধ হয় বিশ্বকাপের মঞ্চে পানসে হয়ে আসা লড়াইটা জমিয়ে তোলা। বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটপিপাসু দর্শক যে সেটার অপেক্ষাতেই আছেন।