ক্রীড়া ডেস্ক
বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি ও টি-টেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তাঁদের ব্যাপক কদর। ‘টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা’ বিশেষণও ক্রিস গেইল-কিরন পোলার্ডদের কারণেই পরিচিতি পেয়েছিল। কিন্তু সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজই টানা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারল। নিজেদের সবশেষ সাত টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৬ টিতেই হেরেছে তারা। গতকাল সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশের কাছে নিজেদের মাঠে হারল প্রথমবারের মতো সিরিজ। এই হার উইন্ডিজ অধিনায়ক রভমান পাওয়েলের হজম করাই যেন ভীষণ কষ্টের!
চোখেমুখে স্পষ্ট হতাশা। ম্যাচ শেষে তো পাওয়েলের বলেই ফেললেন, ‘এই হার দুশ্চিন্তার।’ নিজেদের মাঠে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রেন্ডন কিং, জনসন চার্লস, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে ফ্লেচার, পাওয়েল, রোমারিও শেফার্ড, রোস্টন চেজ—কে ছিল না দলে? টি-টোয়েন্টির প্রভাবশালী ক্রিকেটাররাই সব একাদশে। তারপরও প্রথম ম্যাচে দল হেরেছে ৭ রানে।
এক ম্যাচের ব্যর্থতায় খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা হারায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু এই ম্যাচে যেন আরও বেশি হতাশ করল তারা সমর্থকদের। ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১০২ রানেই অলআউট। বিষয়টি মেনে নেওয়া একটু কঠিন পাওয়েলের কাছে, ‘অবশ্যই, এই হার অবশ্যই দুশ্চিন্তার বিষয়। দুটি ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একই ধরনের ভুল করেছি। এই জায়গায় মনোযোগ দিতে হবে। আজকের উইকেট বোলারদের জন্য আরও বেশি সহজ ছিল। প্রতিপক্ষের ১২৯ রান টপকাতে না পারা কোনোভাবেই ভালো নয়।’
প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পরও একাদশে পরিবর্তন না আনা প্রসঙ্গে পাওয়েল বলেন, ‘আমরা সাহস নিয়ে খেলতে চেয়েছিলাম, এ কারণেই একাদশে কোনো পরিবর্তন আনিনি। ছেলেরা তো ভুল থেকেই শিখবে। একাদশ পরিবর্তন করলেই উত্তর পেয়ে যাবেন এমন নয়। ছেলেরা ভুল করতে করতেই শেখে। সিলেকশনের সিদ্ধান্ত এত সহজে আসে না। সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কে খেলবে কে খেলবে না।’
আগামী পরশু ভোর ৬টায় সেন্ট ভিনসেন্টে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজ হার এড়াতে না পারলেও এবার ধবলধোলাইয়ের লজ্জা এড়াতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়েল বললেন দর্শকদের কথা ভেবে হলেও জিততে চান তাঁরা, ‘সেন্ট ভিনসেন্টের দর্শকদের ধন্যবাদ দিতেই হবে। তাদের একটি জয় প্রয়োজন। শেষ ম্যাচে তাদের জন্য আমরা লড়াই করব।’