কানপুরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। দিল্লিতে আজ এল দেশের আরেক বড় তারকা ক্রিকেটারের বিদায়ের ঘোষণা। আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দিতে পারেন মাহমুদউল্লাহ, সেটির ইঙ্গিত মিলেছিল কদিন আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কথাতেই। আজ সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে সেই অনুমান সত্যি করলেন তিনি। অবসর ঘোষণায় মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘এই সিরিজের পরেই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেব, এটা আমি সফরে আসার আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। এ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক ও বোর্ড সভাপতিকেও জানিয়েছি।’ এ সময় ক্যারিয়ারে তাঁর কোনো আক্ষেপ আছে কিনা জানতে চাইলে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘না, আমার কোনো আক্ষেপ নেই।’
২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি শুরু মাহমুদউল্লাহ এই সংস্করণে খেলেছেন ১৩৯ ম্যাচ, করেছেন ৮ ফিফটি। তাঁর স্ট্রাইকরেট ১১৭.৭৪। ক্যারিয়ারজুড়ে নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে যাওয়া মাহমুদউল্লাহকে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে ২০১৮ সালের মার্চে কলম্বোয় নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সেই অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংসটি দিয়ে, যেটিতে বাংলাদেশ পেয়েছিল শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়। ফিনিশিং ভূমিকায় নিজেকে সবচেয়ে সফলভাবে তিনি চিনিয়েছিলেন ২০১৬ এশিয়া কাপে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে আইসিসি এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলে আকস্মিকভাবে এই সংস্করণে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে তুলে দেওয়া হয় তাঁর কাঁধে। অধিনায়কত্বের শুরুটা তাঁর জয় দিয়ে, এই দিল্লিতেই ভারতের বিপক্ষে। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ খেলেছে তাঁর নেতৃত্বে। তবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না, এই যুক্তিতে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কিছুদিন আগে শুধু নেতৃত্বই হারাননি, দল থেকেও বাদ পড়েন।