হোম > খেলা > ক্রিকেট

কোন পথে হতে পারে পাপনের পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর সর্বত্র ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শীর্ষ পদের কর্তাব্যক্তিদের পলায়ন ও পদত্যাগের হিড়িক চলছে। যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা এবং গাফিলতিই তাঁদের পদত্যাগের কারণ। যাঁরা পদত্যাগ করছেন না, তাঁদের চাপ সৃষ্টি করে অপসারণ কিংবা পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ফেডারেশন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি কিংবা সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তন আনতে হলে সেটা হয় নিয়মতান্ত্রিকভাবে। এখানে বাইরের কোনো শক্তি তথা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে পরিচালনা পর্ষদের অপসারণ বা কাউকে পদত্যাগ করানোর সুযোগ নেই। বিসিবি সভাপতিসহ তাঁর পরিচালনা পর্ষদের যেকোনো পরিবর্তন সংযোজন-বিয়োজন করতে হয় এর গঠনতন্ত্র ও আইসিসির গাইডলাইন অনুসরণ করে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের থেকে বোর্ড সভাপতিসহ পরিচালনা পর্ষদের অর্ধেকের বেশি পরিচালক বোর্ডে আসছেন না। কেউ আবার ক্ষমতার পটপরিবর্তনে দেশত্যাগ করেছেন। বোর্ড সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহসভাপতি বোর্ডের শীর্ষ কর্তার দায়িত্ব নিতে পারেন। কিন্তু নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড সেই জায়গাও রাখেনি। বিসিবিতে নেই কোনো সহসভাপতি। ফলে শিগগির পাপন দেশে না ফিরলে তাঁর সভাপতির পদটি কীভাবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিয়োজন বা সংযোজন হবে, তার পথ খুঁজছে সবাই। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বিসিবি সভাপতির অনুপস্থিতিতে কীভাবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিসিবির এ অচলাবস্থার সমাধান করা যায়, তার জন্য প্রতিবেদন তৈরির তাগিদ এরই মধ্যে দিয়েছেন বিসিবিকে।

এদিকে বিসিবি সভাপতিসহ তাঁর পরিচালনা পর্ষদের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার একাধিক ক্রীড়া সংগঠক ও কাউন্সিলর। তবে গতকাল পর্যন্তও বিসিবির কর্তাদের কেউই পদত্যাগ করেননি। ফলে দিন যত যাচ্ছে, বিসিবি পরিচালনা নিয়ে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।

বিসিবির গঠনতন্ত্রের উপ-অনুচ্ছেদ ১৪.১-এ পরিচালনা পরিষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতার ‘খ’তে উল্লেখ আছে, অন্তত প্রতি দুই মাসে একবার পরিচালনা পর্ষদের সভা হতে হবে। পরপর তিন সভায় কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাঁর পরিচালক পদ বাতিল হবে। সেই বিবেচনায় অন্তত ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিচালক ও সভাপতি থাকবেন পাপন। এর মাঝে নিজ থেকে কেউ পদত্যাগ না করে সময়ক্ষেপণ করলে বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁর পরিচালক পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। আর সেখানেই ইতি ঘটবে সভাপতি হিসেবে তাঁর মেয়াদের।

উপ-অনুচ্ছেদ ১২.৩ অনুযায়ী তলবি সভা আহ্বানে উল্লেখ আছে, সাধারণ পরিষদের মোট সদস্যের এক-তৃতীয়াংশের লিখিত অনুরোধে সভাপতি ১৫ দিনের মধ্যে এক সপ্তাহের নোটিশে তলবি সভা আহ্বান করতে পারবেন। সভাপতি না করলে নোটিশ প্রদানকারী সদস্যদের ন্যূনতম দুই-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে সভায় যেকোনো সদস্যকে সভা আহ্বানের কর্তৃত্ব প্রদান করা যাবে। এরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত সদস্য নোটিশ জারির মাধ্যমে তলবি সভা আহ্বান করবেন।

বোর্ড সভাপতির পদত্যাগ কীভাবে হতে পারে, এই বিষয়ে বিসিবি কাউন্সিলর ও কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা ক্ষমতায় থেকে ব্যাপক দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন। আমরা তাঁদেরও পদত্যাগ চাইছি। তবে আমরা বিসিবিতে এ নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না। আমরা চাই, তাঁরা দ্রুত পদত্যাগ করুন।’

আইসিসির নিষেধাজ্ঞা এড়িয়েও নাজমুল হাসান পাপনকে সভাপতির পদ থেকে সরানো সম্ভব। সে ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীকে বলে মনে করেন এক কাউন্সিলর। নাম প্রকাশ না করে সেই কাউন্সিলর বলেন, ‘বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতির অনুপস্থিতি এবং দেশের চলমান অবস্থা ব্যাখ্যা করে আইসিসির কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে তাকে। সেই আবেদনে অন্তর্বর্তী এক কমিটি গঠনেরও উল্লেখ থাকবে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইসিসির অনুমোদনে গঠন করা যাবে ক্রিকেট বোর্ডের নতুন এক কমিটি। আসবেন নতুন সভাপতি। এখানেও আইসিসিকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট বোর্ডে নির্বাচিত সভাপতি আসবেন।’

নতুন ঝামেলায় বিসিবি, স্থগিত প্রথম বিভাগ ক্রিকেট

ঢাকা ক্যাপিটালের বার্তা স্পর্শ করেছে লিটনকে

বুমরা, শামি, পান্ডিয়াকে নিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভারত

দাপুটে জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

যেখানে শেষ করেছেন, সেখান থেকেই শুরু চান সৌম্য

আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল

বাকি সব ম্যাচে হারলেও সমস্যা নেই রংপুরের, নিশ্চিত প্লে-অফ

পাকিস্তানের খেলা শুরু হতে আজও একই সমস্যা, দেখবেন কোথায়

ভিন্ন ভেন্যুতেও অজেয় রংপুর

খুশদিলের তাণ্ডবে শেষ ৩৬ বলে ৮১ রংপুরের

সেকশন