বিরাট কোহলি-গৌতম গম্ভীরের ঝগড়া নিয়ে আলোচনা চলছেই। আলোড়ন তোলা এই ঝগড়া প্রসঙ্গে একেক জন দিচ্ছেন একেক রকম মত। কোহলি-গম্ভীরের ঝগড়া থামাতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) এগিয়ে আসতে বললেন মনোজ তিওয়ারী।
গত সোমবার লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। লক্ষ্ণৌর ইনিংসে ১৭ তম ওভারে দুই ব্যাটার অমিত মিশ্র, নাভিন-উল-হকের মধ্যে তর্কে জড়ান কোহলি। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় ম্যাচ শেষে। ম্যাচ শেষে সবাই করমর্দনে ব্যস্ত। করমর্দনের পরিবর্তে তখন আবারও তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় নাভিন ও কোহলির। এই ঘটনায় আগুনে ঘি ঢালার কাজটাই যেন করতে আসেন লক্ষ্ণৌর পরামর্শক গম্ভীর। কোহলি-গম্ভীর একে অপরকে উদ্দেশ্য করে কড়া কথা বলেন। এই ঘটনা সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই। এর আগেও ২০১৩ আইপিএলে ঝগড়ায় জড়িয়েছিলেন কোহলি-গম্ভীর। কোহলি বেঙ্গালুরুতে খেললেও ১০ বছর আগে গম্ভীর খেলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে।
তিওয়ারীর মতে, কোহলি-গম্ভীরের ঝগড়া ক্রিকেটের জন্য কখনোই সুখকর নয়। ক্রিকবাজকে কলকাতার সাবেক ব্যাটার (তিওয়ারী) বলেন, ‘বিসিসিআইয়ের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসা উচিত। এটা (কোহলি-গম্ভীরের ঝগড়া) কখনোই সুন্দর দৃশ্য না। খেলাটির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আপনারা এমন করতে পারেন না। আইপিএল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট। অনেকেই এটা দেখে, বিশেষ করে তরুণরা। অনেক তরুণই কোহলির মতো হতে চায়। তাই এসব ঘটনার মূল খুঁজে বের করা উচিত। সুস্থ প্রতিযোগিতা খেলার জন্য ভালো তবে এমন ঘটনা নয়।’
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ-ভারতের এই দুটি আইসিসি ইভেন্ট জয়ে অবদান রেখেছেন গম্ভীর। ২০০৭ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৪ বলে করেন ৭৫ রান। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১১ বিশ্বকাপে ১২২ বলে করেন ৯৭ রান। ভারতীয় এই বাঁহাতি ব্যাটারের ইনিংস দুটির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিওয়ারী বলেন, ‘অনেকেই হয়তো ভুলে গেছেন যে তিনি (গম্ভীর) ভারতের দুটো বিশ্বকাপ জয়ে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। এমনটা (কোহলি-গম্ভীরের ঝগড়া) হওয়া উচিত না। কখনোই এটা ভালো উদাহরণ হতে পারে না।’