নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা শুভাগত হোম চৌধুরীর। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শিরোপা জয়ের পথে দ্বিতীয় ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মিঠুনকে সাত রানে হারালেও আবারও রক্ষাকর্তার ভূমিকায় শুভাগত। আর তাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শিরোপা নিজেদের কাছেই রাখল মধ্যাঞ্চল।
২১৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয়ের জন্য আজ শেষ দিনে ১৯২ রান লাগত মধ্যাঞ্চলের। ৩ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে খেলতে নেমে দ্বিতীয় সেশনেই লক্ষ্য পৌঁছে যায় তারা। আজ দিনের শুরুটাও ভালো হয়নি মধ্যাঞ্চলের। দ্রুতই ফিরে যান আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার সৌম্য সরকার (৮) আর সালমান হোসেন (৩৭)।
পরে ৬৮ রানের মধ্যে তাইবুর রহমানকেও হারালে বিপদে পড়ে মধ্যাঞ্চল। সেখান থেকে জাকের আলীকে নিয়ে আর কোনো বিপদ বাড়তে দেননি শুভাগত। দুজনের ১৫৩ রানের অমীমাংসিত জুটিতে ৪ উইকেটের জয় পায় মধ্যাঞ্চল। বিসিএলে এটা তৃতীয় শিরোপা মধ্যাঞ্চলের। ২০১৫-১৬ মৌসুমে সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিল দলটি।
পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চলকে হারিয়ে শিরোপা জয়ে বড় অবদান শুভাগতর। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১২১ বলে ২ ছক্কা ও ১৩ চারে করেছেন ১১৪ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। ১২৪ বলে ৫ চারে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তাঁর সঙ্গী জাকের। প্রথম ইনিংসে ১৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর মিঠুনের সঙ্গে ২৮৩ রানের জুটি গড়েছিলেন শুভাগত। ২১৯ বলে ১১৬ রানের তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২ চারে। জোড়া সেঞ্চুরিতে ফাইনালের ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন মধ্যাঞ্চলের এই অধিনায়ক। ৪৬৮ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন মিঠুন।