ক্রীড়া ডেস্ক
দুর্বার রাজশাহীকে ১৪৯ রানে হারিয়ে এবারের বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালস ফিরেছিল জয়ের ধারায়। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ১২ জানুয়ারি রাজশাহীর বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। তবে আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সেই রানটুকু করতে পারল না ঢাকা। তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বরিশালও জিতেছে হেসেখেলে।
সিলেট স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে গত বৃহস্পতিবার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটি হেরে গিয়েছিল ফরচুন বরিশাল। সেই ম্যাচের এক সপ্তাহ পর আজ মাঠে নেমেছে তামিম-মুশফিকুর রহিমদের বরিশাল। ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তিন থেকে দুইয়ে উঠে এসেছেন তামিমরা। ৬ ম্যাচে ৪ জয় ও ২ পরাজয়ে ৮ পয়েন্ট এখন বরিশালের। অন্যদিকে সাত দলের মধ্যে সাত নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দলটির ৮ ম্যাচে ১ জয়ে ২ পয়েন্ট।
১৪০ রানের লক্ষ্যে নেমে দলীয় ৮ রানেই ভেঙে যায় ফরচুন বরিশালের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরান আবু জায়েদ রাহি। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ডেভিড মালান। এবারের বিপিএলে এটাই তাঁর প্রথম ম্যাচ। তামিম ও মালান সাবলীলভাবে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন। স্ট্রাইক রোটেটের পাশাপাশি বাউন্ডারি মেরেছেন এই দুই ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেটে মালান-তামিম গড়েন ৮০ বলে ১১৭ রানের জুটি। চলতি বিপিএলে তামিম তুলে নিয়েছেন দ্বিতীয় ফিফটি।
১৫তম ওভারের শেষ বলে তামিমকে বোল্ড করে দ্বিতীয় উইকেটের জুটি ভাঙেন থিসারা পেরেরা। ৪৮ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৬১ রান করেন তামিম। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক ফেরার পর বোলার জাহানদাদ খানকে চার নম্বরে উঠিয়ে আনা হয়। মালান-জাহানদাদের খেলা শেষ করতে লেগেছে ৬ বল। ১৬তম ওভারের শেষ বলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে ছক্কা মেরে ৪ ওভার হাতে রেখে বরিশালকে জয় এনে দেন জাহানদাদ। ৮ উইকেটের জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন তামিম।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেন ঢাকা ক্যাপিটালসের অধিনায়ক পেরেরা। ফরচুন বরিশালের ফিল্ডাররা একের পর এক ক্যাচ মিস করলেও সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি ঢাকা। ১৯.৩ ওভারে ১৩৯ রানে ঢাকা অলআউট হয়েছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন তানজিদ তামিম। ৪৪ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৪ চার ও ২ ছক্কা। লিটন করেছেন ১৭ বলে ১৩ রান। বরিশালের তানভীর ইসলাম নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৩ ওভারে খরচ করেন ৩৯ রান। ফাহিম আশরাফ পেয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রিপন মন্ডল ও জাহানদাদ।