নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ দল। ইতিমধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলেছে তারা। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ২ রান ও নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেছেন ১৫ রানে।
কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ ওভার ব্যাটিংয়ের পর হঠাৎ খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। মূলত আলোকস্বল্পতার কারণে আপাতত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আম্পায়াররা। মিরপুরে এই মুহূর্তে মেঘলা আকাশ। আলো বাড়লে আবারও ম্যাচ শুরু হবে। জাকির হাসান ১৬ ও মুমিনুল হক রানের খাতা খোলার অপেক্ষায় আছেন।
প্রথম দিনের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডের ৪৬ রানেই সেদিন ৫ উইকেট ড্রেসিংরুমে ফিরিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। জাগিয়েছিলেন লিড নেওয়ার সম্ভাবনা। তবে তৃতীয় দিন উল্টো ৮ রানের লিড নিয়ে থামল কিউইরা। গ্লেন ফিলিপসের ফিফটির কল্যাণে প্রথম ইনিংসে ১৮০ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ১৭২ রান।
দুপুর ১২টায় শুরু হলো খেলা, প্রথম দিনের শেষ ওভারে আরও দুটি বল বাকি ছিল তাইজুল ইসলামের। আজ সেই ওভার পূর্ণ করলেন প্রথমে এসে। তার আগে দ্বিতীয় দিন অবিরত বৃষ্টির পর ভেজা মাঠ শুকাতে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনও শেষ হয়ে গেল। খেলা শুরু হয় লাঞ্চের পর।
তবে তৃতীয় দিনের খেলার সময় বেড়েছে পরিধি। সাধারণত দিনের খেলা শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৪টায়, আজ শেষ হবে ৫টা ১৫ মিনিটে। দ্বিতীয় সেশনের পর চা-বিরতির সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ১০ মিনিট। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে তৃতীয় সেশনের খেলা। তৃতীয় দিন ৭৪ ওভার খেলা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা।
ঘূর্ণি উইকেটে টেস্টসুলভ খেলতে গেলে চ্যালেঞ্জ একটু বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই তৃতীয় দিন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। ষষ্ঠ উইকেটে ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস ৪৯ রানের দারুণ একটি জুটিও গড়েন।
দিনের দশম ওভারে মিচেলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন নাইম হাসান। সোজাসুজি ওপরে তুলে খেলেছিলেন মিচেল, অল অন থেকে দৌড়ে গিয়ে, ডাইভ দিয়ে বল হাতে জমা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার আগে মিচেলকে ফেরাতে একটা রিভিউ নষ্ট করেছিলেন মিরাজই।
পরের ওভারে মিচেল স্যান্টনারকেও ফেরান নাঈম। ১ রানে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়েন তিনি। অষ্টম উইকেটে ইনিংসে সবচেয়ে বড় জুটি পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। কাইল জেমিসনকে নিয়ে ৫৫ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েন ফিলিপস। দ্রুত রান তুলছিলেন দুজনে।
স্পিন দিয়ে যখন জুটি ভাঙতে ব্যর্থ হচ্ছিল বাংলাদেশ, তখন দিনের ২০ তম ওভারে শরীফুল ইসলামকে আক্রমণ আনলেন শান্ত। ওভারের দ্বিতীয় বলেই ব্রেকথ্রু এনে দেন এই বাঁহাতি পেসার। হাঁটুর নিচের বল খুঁচিয়ে স্লিপে শাহাদাত হোসেন দিপুর হাতে বল জমা পড়লে ২০ রানে ফেরেন জেমিসন।
নবম উইকেটে জুটিতে টিম সাউদি-ফিলিপস স্কোরে জমা করেন ২৮ রান। সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন ফিলিপস। কিন্তু ৮৭ রানে শরীফুলের বল তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের হাতে জমা পড়ে। ৭২ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন ফিলিপস। ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা। বাউন্ডারি। এরপর ১৪ রানে সাউদিকে ফিরিয়ে শেষ উইকেটে জুটিতে আর রান যোগ করতে দেননি তাইজুল। ৩৭.১ ওভারে ১৮০ রানে থামল নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাইজুল ও মিরাজ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন,২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ও নাঈম।