ডেভিড মিলার, হেইনরিখ ক্লাসেন, কেশব মহারাজদের কান্নারত চেহারার দৃশ্য চাইলেই কি মুছে ফেলা সম্ভব? বার্বাডোজে গত বছরের ২৯ জুন ভারতের কাছে অল্পের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না জয়ের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ৬ মাস পর আবারও প্রোটিয়াদের কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত।
কুয়ালালামপুরের বায়ুমাস ওভালে আজ দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে ভারত। যেখানে প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস শেষেই বোঝা যায় ম্যাচের ভবিতব্য। ২০২৩,২০২৫—নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দুইবারই চ্যাম্পিয়ন ভারত।
৮৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ভারতের দুই ওপেনার কমলিনি জি ও ত্রিশা গোঙ্গাদি যোগ করেন ৩৬ রান। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে কমলিনিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কায়লা রেয়নেকে। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ব্যাটিংয়ে নামেন সানিকা চালকে।
দ্বিতীয় উইকেটে এরপর ৪৮ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েছেন ত্রিশা ও চালকে। ১২ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মোনালিসা লেগোদিকে চার মেরে ভারতকে শিরোপা এনে দেন চালকে। ১১.২ ওভারে ১ উইকেটে ৮৪ রান করে ভারতীয়রা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ত্রিশা। ৩৩ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৮ চার।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক রেয়নেকে। তবে ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১০০ রানও করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮২ রানে অলআউট হয়েছে প্রোটিয়ারা। ইনিংস সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন মাইক ফন ফুর্স্ট। ভারতের ত্রিশা ৪ ওভারে ১৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। বোলিংয়ের পাশাপাশি ৪৪ রানের ইনিংস খেলে ফাইনালসেরা হয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্টে ৩০৯ রান ও ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও পেয়েছেন ত্রিশা।
২০২৩ সালে প্রথম নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কের ফাইনালে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শেফালি ভার্মা।