গত বছর চোট নিয়ে বেশ ভুগেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে চোটের কারণে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে পায়নি তারা। এবার নতুন বছরে ক্রিকেটারদের চোট নিয়ন্ত্রণে আনতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে বিসিসিআই।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের ফিট রাখতে ‘ডেক্সা টেস্ট’ নামে এক ফিটনেস টেস্ট চালু করবে বিসিসিআই। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের দল নির্বাচনে নতুন এই টেস্ট নিয়ে এসেছে বিসিসিআই। ইয়ো ইয়ো টেস্টের সঙ্গে নতুন টেস্টও উত্তীর্ণ হতে হবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। না হলে ভারতের দলে সুযোগ পাবেন না ক্রিকেটাররা।
রোহিত-কোহলিদের সঙ্গে আলোচনা করেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিসিআই। বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, ইয়ো ইয়ো এবং ডেক্সা টেস্ট এখন দল নির্বাচনের মানদণ্ডের অংশ হবে এবং কেন্দ্রীয় পুলের খেলোয়াড়দের কাস্টমাইজড রোডম্যাপে প্রয়োগ করা হবে।
ডেক্সা টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ভারত আনলেও ফুটবলে এটি বেশ জনপ্রিয়। ইউরোপীয় ফুটবলের ক্লাবগুলো এই টেস্টের মাধ্যমেই তাদের খেলোয়াড় নির্বাচন করে আসছে। এটি ইয়ো ইয়ো টেস্টের চেয়েও বেশ কঠিন এক টেস্ট। শরীর সুস্থ রাখতে টেস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডেক্সার পূর্ণ রূপ হচ্ছে—ডুয়েল এনার্জি এক্স-রে অ্যাবসর্পটিওমেট্রি। ফিটনেস পরীক্ষায় এটি একটি বিশেষ এক্স-রে পদ্ধতি। যার মাধ্যমে মানুষের শরীরে হাড়ের ঘনত্ব মাপা হয়। স্ক্যানের মাধ্যমে ‘ডুয়াল এনার্জি এক্স-রে’ শরীরে প্রবেশ করানো হবে। ক্রিকেটারদের হাড়ের ঘনত্ব কতটা, তা এই পরীক্ষায় জানা যাবে। হাড়ের ঘনত্বের ওপর নির্ভর করবে চোটের সম্ভাবনা। যে ক্রিকেটারের হাড়ের ঘনত্ব কম, সেই ক্রিকেটারের চোট পাওয়ার শঙ্কা বেশি। তাই ভারতীয় দলে সুযোগ পেতে রোহিত-কোহলিদের হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে হবে।
পরীক্ষাটি করতে ১০ মিনিটের মতো লাগবে। জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে এই পরীক্ষা করবে ভারত। স্কোয়াডে সুযোগ পেতে হলে প্রতিটি সিরিজের আগেই এই পরীক্ষায় পাস করতে হবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। এই পরীক্ষায় কোনো শারীরিক সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে বোর্ড।
হাড়ের ঘনত্ব ছাড়াও শরীরে মেদের পরিমাণ ও পেশির ক্ষমতাও জানা যাবে ডেক্সার মাধ্যমে। শরীরে মেদ যত কমবে, পেশি তত বেশি হবে। ফলে শারীরিক ক্ষমতা তত বাড়বে। এটি ২০১১ সালেই চালু করার কথা জানিয়েছিলেন দলটির সাবেক ফিটনেস কোচ রামজি শ্রীনিবাসন। তবে সে সময় চালু করতে না পারলেও এবার চালু করতে যাচ্ছে বিসিসিআই।