নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের সফল কোচদের তালিকায় ওপরের সারিতেই থাকবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নাম। আক্রমণাত্মক মনোভাবে বেশ পরিচিতিও পেয়েছিলেন এই শ্রীলঙ্কান কোচ। তাঁর হাত ধরে আন্তজার্তিক ক্রিকেটে বেশ কিছু বড় সাফল্যের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের শেষ দিকে তাঁর বাংলাদেশ অধ্যায় শেষ হয়ে গেলেও আলোচনায় ঠিকই থেকে গেছেন হাথুরুসিংহে।
মাঝে আবার বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসার গুঞ্জন ছিল হাথুরুসিংহের। যদিও সেটা গুঞ্জনেই সীমাবদ্ধ থাকে। তাঁর বিদায়ের পর আরও দুজন কোচকে এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন রাসেল ডমিঙ্গো। তাঁর সময়ে সাফল্য-ব্যর্থতা দুইটাই প্রায় সমানতালে দেখেছে বাংলাদেশ। তবে ডমিঙ্গো ঠিক হাথুরসিংহের মতো আক্রমণাত্মক কোচ নন। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও এমনটাই মনে করেন।
বর্তমান কোচিং প্যানেল নিয়ে নিজের ভাবনা জানাতে গিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘কোচিং প্যানেলে যারা আছে, তারা খুবই নিবেদিত। হয়তো তাদের কোচিংয়ের ধারাটা ভিন্ন। কেউ একটু আক্রমণাত্মক হয়, কেউ হয় না। হাথুরুর কোচিংয়ের ধরণ ছিল আক্রমণাত্মক, যেটা আমাদের দরকার। কিন্তু আমাদের যারা কোচিং প্যানেলে আছে, হেড কোচ, ব্যাটিং কোচ। প্রধান কোচই তো আসল। সে খুবই জ্ঞানী কোচ। সে হয়তো ওভাবে আক্রমণাত্মক না। যেটা আমরা চাই, আক্রমণাত্মক হলে খেলোয়াড়কে যাতে ওভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারে। যে তোমাকে মাঠের মধ্যে একটু আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকতে হবে। সেদিক থেকে সে (ডমিঙ্গো) হয়তো ওই ধরনের আক্রমণাত্মক না।’
জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ দলের মাঝে আক্রমণাত্মক মেজাজের কমতি দেখছেন অনেকে। এই সফর শেষে বাংলাদেশের পরের চ্যালেঞ্জ এশিয়া কাপ। এশিয়া কাপের আগে তাই কোচিং প্যানেলের সঙ্গে বসতে চায় বিসিবি। এ নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরাও ওরকম (আক্রমণাত্মক) চাই। আমরা এজন্য কোচিং প্যানেলের সঙ্গে বসছি। তারা কী বলে দেখি। এত দিন খেলা ছিল, এখানে (এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে) আমরা দুই-তিন দিনের সময় পাচ্ছি। সব বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলব।’