২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের শিরোপা জয়ের পেছনে অন্যতম কারিগর ছিলেন গ্যারি কারস্টেন। এবার বিশ্বমঞ্চে সাফল্যের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারের দিকেই হাত বাড়িয়ে দিল ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান।
মিসবাহ উল হকের পদত্যাগের পর খালি হয়ে থাকা হেড কোচের পদে কারস্টেনকে বসানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে রমিজ রাজার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে দলের সঙ্গে আছেন সাকলায়েন মুশতাক। এ ছাড়া বাবর আজম–শাহিন শাহ আফ্রিদিদের ব্যাটিং ও বোলিং পরামর্শক হিসেবে বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে আছেন ম্যাথু হেইডেন এবং ভারনন ফিলান্ডার। তবে বিশ্বকাপের পরেই স্থায়ী হেড কোচ নিয়ে আসতে চায় পাকিস্তান।
বাবরদের পরবর্তী ‘হেড স্যার’ হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্যতম সফল কোচ কারস্টেনই যে পিসিবির রাডারে আছেন, তা প্রকাশ হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আরও আছেন অস্ট্রেলিয়ার সাইমন ক্যাটিচ এবং ইংল্যান্ডের পিটার মুরেস।
খেলা ছাড়ার পর কোচিং পেশায় যুক্ত হওয়া কারস্টেন সবচেয়ে আলোচিত ভারতকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়ায়। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেই দলের প্রধান কোচ ছিলেন কারস্টেন। তবে বিশ্বকাপের পরই ভারতের কোচিং পদ ছেড়ে দেন তিনি। এরপর নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে দলকে দুই বছর প্রশিক্ষণ দেন।
রাসেল ডমিঙ্গোকে আনার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করেছিল কারস্টেনকে আনতে। তবে তিনি সে সময় আগ্রহ দেখাননি। পরে কোচ খোঁজার দায়িত্বটা কারস্টেনকে দিয়েছিল বিসিবি। তাঁর পরামর্শেই ডমিঙ্গোকে নিয়োগ দেয় বোর্ড।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা পূর্ণ মেয়াদে একজন বিদেশি কোচ নিয়োগের পক্ষে। তবে বেশির ভাগ কোচ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও সংক্ষিপ্ত সময়ে যুক্ত থাকতে চান। তাই কারস্টেনই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধান কোচ হতে পারেন। অন্যদিকে ক্যাটিচ ও মুরেসকে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোতে স্থায়ী কোচ করা হতে পারে।
ক্যাটিচ এর আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দুটি দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহকারী কোচ এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রধান কোচ ছিলেন। মুরেস ইংল্যান্ড দলের প্রধান কোচ হিসেবে দুই দফা দায়িত্ব পালন করেছেন।