নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্রিকেট অথবা রাজনীতি নাকি দুটোই চলবে সমান্তরালে—বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর বাংলাদেশে এ ব্যাপার নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। তাতে বারবার চলে আসছে দেশের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মর্তুজার নাম। শরীফুল ইসলাম এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সরকার পতনের পরই জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তাতে সাকিব ও মাশরাফির সংসদ সদস্যের (এমপি) পদ বাতিল হয়ে যায়। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় মাগুরা-১ ও নড়াইল-২ আসন থেকে এমপি হয়েছিলেন সাকিব ও মাশরাফি । এমপি থাকা অবস্থায় সাকিব-মাশরাফি এখনো ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন। কদিন আগে নুরুল হাসান সোহান বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন এই মর্মে যে অবসরের পর রাজনীতি করা উচিত। সেই ব্যাপারেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সামনে আজ যখন জিজ্ঞেস করা হলো শরীফুলকে, তখন তিনি উত্তর দিয়েছেন কূটনৈতিক উপায়ে। বাংলাদেশের তরুণ বাঁহাতি পেসার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দেখুন আমি আসলে অনেক ছোট। এসব ব্যাপারে আমি এখনো কিছু জানি না। জানতে চাই না। না থাকাই ভালো।’
কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ শেষ হয়েছে গত পরশু। সেই টুর্নামেন্টে সাকিব-শরীফুল দুজনেই খেলেছেন বাংলা টাইগার্স মিসিসাউগার হয়ে। টুর্নামেন্টের শেষের দিকে এসে বাংলা টাইগার্স অধিনায়ক সাকিবের একটি ঘটনা নিয়ে বেশি সমালোচনা হয়। এলিমিনেটরে টরন্টো ন্যাশনালসের বিপক্ষে ম্যাচে টস করতে যাননি সাকিব। কারণ মুষলধারে বৃষ্টির কারণে একটা পর্যায়ে সুপার ওভারে খেলা চালানোর সিদ্ধান্ত ম্যাচ কর্মকর্তারা নিলে সেটা পছন্দ হয়নি বাংলা টাইগার্সের। সেই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে শরীফুল বলেন,‘আমার মনে হয় আসলে এক ওভারের একটা ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারটা নিয়মে ছিল না। সেকারণেই আমরা টসে যাইনি। কারণ আমার মনে হয় না কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বা কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ম্যাচ ছাড়া সরাসরি সুপার হয়। সেকারণে আমাদের হয়তো টসে যাওয়া হয়নি।’
ক্রিকেটারদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও। মিরপুরে গতকাল সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নের জবাবে লিপু জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট বোর্ড বা ফেডারেশন থেকে একটা গাইডলাইন আসা উচিত। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরও তোপ দেগেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক। খেলোয়াড়ি জীবনে রাজনীতে না জড়ানোর ব্যাপারটিতেই মূলত আলোকপাত করেন লিপু।
আরও পড়ুন: