হারারে টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানরা ছড়ি ঘোরালেও দ্বিতীয় সেশনটায় ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে তুলে নিয়ে স্বস্তি ফিরিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৯৪তম ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৫ উইকেটে ২৪০ রান।
২ উইকেট ২০৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শুরু করে জিম্বাবুয়ে। দলীয় ২২৫ রানে ডিওন মায়ার্সকে (২৭) মিরাজের ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব। উইকেট নতুন আসা টিমাসেন মারুমাকেও (০) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিতে এগিয়ে আসেন তাসকিন আহমেদও। রয় কায়াকে (০) উইকেটের পেছনে লিটনের ক্যাচে পরিণত করে ফেরান তাসিকন। সাকিব–তাসকিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের স্কোর ২/২২৫ থেকে হুট করে ৫/২২৯ করে দ্বিতীয় সেশনে হাসি ফিরেছে বাংলাদেশের। ১ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে করা জিম্বাবুয়ের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আজ শুরু থেকেই বেশ দাপটের সঙ্গে ব্যাটিং করছিলেন। বিশেষ করে টেলর। শন উইলিয়ামসের অনুপস্থিতিতে দলের অধিনায়কত্বের ভার পাওয়া টেলর যেন ব্যাটিংয়ের ভারটাও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। ব্যাটিং করছিলেন ওয়ানডে মেজাজে।
৪৭ ওভারের দ্বিতীয় বলে সাকিব আল হাসানকে ছক্কা মেরে টেলর পৌঁছান ফিফটিতে। ১১ তম টেস্ট ফিফটিটি করতে টেলরের লেগেছে ৫৮ বল। অন্য প্রান্তে টেস্ট মেজাজে খেলছিলেন কাইতানু। মেহেদী হাসান মিরাজকে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলী রাব্বীর হাতে ক্যাচ তুলে দেন টেলর। আউট হওয়ার আগে অবশ্য ওয়ানডে মেজাজে ৯২ বলে করেছেন ৮১ রান। দলীয় ১৭৬ রানে টেলর আউট হওয়ার আগে দুজনে মিলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৬৮ রানের জবাবটা ভালোই দিচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। তবে দ্বিতীয় সেশনে সাকিব–তাসকিনের ধাক্কায় আপাতত চাপেই আছে স্বাগতিকেরা।