আইসিসি ইভেন্টের শিরোপা জেতা অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে ডালভাত। ছেলেদের ও মেয়েদের ক্রিকেটে তারা একের পর এক শিরোপা জিতেই চলেছে। সর্বশেষ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে রোববার ভারতকে কাঁদিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া পুরুষ ক্রিকেট দল। ওয়ানডে ইতিহাসে এটা তাদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা।
ষষ্ঠ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের পর অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা উদযাপন করার সময়ও পাচ্ছেন না। যেখানে আগামীকাল বিশাখাপত্তনমে শুরু হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তবে চ্যাম্পিয়ন দলের সবাই টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছেন না। এরই মধ্যে বাড়ি ফিরেছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড মিচেল মার্শসহ বেশ কয়েকজন অজি ক্রিকেটার। কামিন্স, হ্যাজলউড নেমেছেন সিডনি বিমানবন্দরে আর মেলবোর্ন বিমানবন্দরে নেমেছেন মার্শ। অথচ তাদের দেখে বোঝারই উপায় নেই যে তারা বিশ্বকাপ জিতে এসেছেন। চ্যাম্পিয়নদের বরণ করতে কোনো জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন দেখা যায়নি। সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও-ছবিতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরে হাতে গোনা কয়েকজন সাংবাদিক ও অন্যান্য যাত্রীরা নিজেদের মতো আসা-যাওয়া করছেন।
তবু সিডনি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন কামিন্স। বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক বলেন, ‘প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর মনে হচ্ছে যে আমি বিশ্বকাপ জিতেছি। প্রতি চার বছর পর আপনি একটা সুযোগ পান। আর বিশেষ করে যখন ভারতে খেলছেন, এটা একটু কঠিনই।’
২০২৩ বিশ্বকাপে কামিন্স নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। ১১ ম্যাচে ৫.৭৫ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। প্রথম পর্বে আফগানিস্তান ও সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা-এই দুই ম্যাচে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়াকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতিয়েছেন। অন্যদিকে ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো না হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রান করেছেন মার্শ। ২ সেঞ্চুরিতে ৪৯ গড়ে করেছেন ৪৪১ রান।