ক্রীড়া ডেস্ক
প্রত্যাবর্তনটা দুর্দান্তভাবে রাঙালেন আন্দ্রে রাসেল। দুই বছর পর জাতীয় দলে ফিরেই নায়ক বনে গেলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয়ের ম্যাচে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংয়ের সঙ্গে অপরাজিত ২৯ রান করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার।
রাসেলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্লান হয়ে গেছে আদিল রশিদের রেকর্ড। ইংল্যান্ডের প্রথম বোলার হিসেবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ১০০ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। সব মিলিয়ে দশম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের কীর্তি গড়েছেন। কিন্তু কীর্তিটা জয়ে রাঙাতে দেননি রাসেল।
দেশের মাটিতে ২৫ বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৭২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করে। ২.৪ ওভারে ৩২ রান তোলেন দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও কাইল মায়ার্স। ১২ বলে ২২ রান করে কিং আউট হলে শাই হোপকে নিয়ে আরেকটি ত্রিশোর্ধ্ব জুটি গড়েন মায়ার্স।
দ্বিতীয় উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েন হোপ-মায়ার্স। তবে ৩৫ রানে মায়ার্স আউট হলে ওভার-প্রতি ১০-এর বেশি রান তোলা ক্যারিবিয়ানরা ম্যাচে ধাক্কা খায়। একের পর ১ উইকেট হারিয়ে একটা সময় স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪.৪ ওভারে ১২৩ রান ৬ উইকেটের বিনিময়ে।
এমন সমীকরণের সময় দলের অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলের সঙ্গে বাকি কাজটুকু করেন রাসেল। অবিচ্ছেদ ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলকে ১১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় এনে দেন তাঁরা। সমান ২ চার ও ছক্কায় ১৪ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন রাসেল। অন্যদিকে কম যাননি অধিনায়ক পাওয়েলও। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৫ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার স্পিনার রেহান আহমেদ। ২৫ রানে ২ উইকেট নেন রশিদ।
ব্যাটিংয়ের আগে বোলিংয়েও ঝলক দেখিয়েছেন রাসেল। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে সফরকারীদের ১৭১ রানে অলআউট করতে দলকে সহায়তা করেছেন তিনি। অথচ, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল ইংল্যান্ড। ওপেনিংয়ে ৭৭ রানে জুটি পায় ইংলিশরা। ৪০ রানে ফিল সল্ট আউট হওয়ার পরেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। পরে তিন বল বাকি থাকতেই ১৭১ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে ওপেনিংয়ে নামা অধিনায়ক জস বাটলার। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রাসেল ও আলজেরি জোসেপ।