নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট থেকে
১৬ ওভারে ৮৮ রানে নেই ৭ উইকেট। যেভাবে উইকেট বৃষ্টির মতো পড়ছিল, খুলনা টাইগার্সের স্কোর ১০০ করাই যেন কঠিন ব্যাপার হবে। তবে অষ্টম উইকেটে এসব ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও ফাহিম আশরাফ।
ফরচুন বরিশালের বোলাররা শুরুর ছন্দটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি। দুই পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের কাছে পথ হারিয়েছেন তাঁরা। অষ্টম উইকেটে দুই ফাহিম-নওয়াজ গড়েছেন ২৪ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। যার সৌজন্যে বরিশালকে ১৫৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে খুলনা। শেষ ৩ ওভারে তারা তোলে ৫৪ রান।
টস জিতে খুলনাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এভিন লুইস না থাকায় আজ এনামুল হক বিজয়ের উদ্বোধনী সঙ্গী হলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আকিফ জাভেদকে বোলিং আক্রমণে এনেই উইকেটের দেখা পায় বরিশাল। দারুণ ছন্দে থাকা বিজয় ব্যক্তিগত ১২ রানে হয়েছেন বোল্ড।
তিনে নামা হাবিবুর রহমান সোহান (২) দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউটে কাটা পড়েন। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন ইমন। দেখেশুনে মারছিলেন বাউন্ডারি, কিন্তু থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শোয়েব মালিকের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেরেন ৩৩ রানে। ২৩ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছক্কা।
পরের বলে আফিফ হোসেনের উইকেটও নেন মালিক। প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টায় আফিফ ক্যাচ আউট রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর তাইজুল ইসলাম তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়ের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ১৯ বল ১৩ রান করেছেন তিনি।
তাইজুল দ্বিতীয় স্পেলে এসে বিপাকে ফেলেন দাসুন শানাকাকে। ১৩ বলে ৬ রানের ধীরগতির ব্যাটিং শেষে শানাকা হয়েছেন বোল্ড। ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে নাহিদুল ইসলামকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে পাঠান মোহাম্মদ ইমরান।
৮৮ রানে ৭ উইকেট হারানো খুলনা টাইগার্সকে এরপর ম্যাচে ফেরান নওয়াজ ও ফাহিম আশরাফ জুটি। শেষ বেলায় এ দুইয়ের ব্যাটিং ঝড়ে শতরান ছাড়িয়ে খুলনার সংগ্রহ যায় চ্যালেঞ্জিং স্কোরের লক্ষ্যে। ২৩ বলে ৪ ছক্কায় ৩৮ রান করেছেন নওয়াজ এবং ১৩ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩২ রান করেছেন ফাহিম।