ক্রীড়া ডেস্ক
শুরুতেই হোঁচট খাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপে খুবই পরিচিত দৃশ্য। বিশেষ করে টেস্টে এই রোগ থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসতে পারছে না কিছুতেই। জ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও দেখা গেছে একই ঘটনা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররাও মিস করেছেন একের পর এক ক্যাচ।
বাংলাদেশ সময় গতকাল রাত ৯টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্ট। তবে আউটফিল্ড ভেজা থাকায় দফায় দফায় মাঠ পরিদর্শন করতে হয়েছে আম্পায়ারদের। পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়া টেস্টের প্রথম দিনটা বাংলাদেশের জন্য ছিল অম্লমধুর। ২ উইকেটে ৬৯ রান করেছে সফরকারীরা।যেখানে চার ইনিংস পর ফিফটির দেখা পেয়েছেন সাদমান ইসলাম।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৮ রানেই সফরকারীরা হারায় প্রথম উইকেট। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে কেমার রোচের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল ডিফেন্ড করতে যান মাহমুদুল হাসান জয়। উইকেটরক্ষক জশুয়া ডা সিলভা ডানদিকে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ লুফে নেন। ১২ বলে ৩ রান করেন জয়। এক ওভার পর এসে বাংলাদেশকে আরেক দফা ধাক্কা দেন রোচ। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে মুমিনুল হককে রানের খাতা খোলার আগেই রোচ ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠিয়েছেন। এবারও ক্যাচ ধরেন ডা সিলভা।
রোচ ২ ওভারে ২ উইকেট নিলে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৬.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১০ রান। এমন পরিস্থিতিতে সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন ওপেনিংয়ে নামা সাদমান। তিনি (সাদমান) এই ম্যাচে একাদশে এসেছেন আরেক ওপেনার জাকির হাসানের পরিবর্তে। যদিও সাদমান দ্রুত আউট হতে পারতেন। ব্যক্তিগত ১৫ ও ৩৫ রানে তাঁর ক্যাচ মিস করেছেন অ্যালিক আথানাজ ও ক্রেগ ব্র্যাথওয়েট।
দুইবার জীবন পাওয়া সাদমান ৯৩ বলে তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি। শাহাদাত হোসেন দীপুর সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৪১ বলে ৫৯ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে দিনটা পার করেছেন সাদমান। প্রথম দিন খেলা হয়েছে ৩০ ওভার। সাদমান ও দীপু অপরাজিত ৫০ ও ১২ রান করে। সাদমানের মতো দীপুও জীবন পেয়েছেন। ২০তম ওভারের তৃতীয় বলে দীপু যখন জীবন পান, তখন তাঁর রান ৮। এখানে দ্বিতীয় স্লিপে আথানাজের হাত ফস্কে বল প্রথমে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রথম স্লিপে ক্যাভেম হজও বলটা তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ক্যাচ মিসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাদমান-দীপুরা ইনিংস লম্বা করতে পারেন কি না সেটা সময়ই বলে দেবে।