Ajker Patrika
হোম > খেলা > ক্রিকেট

সোহানের সেঞ্চুরিতেও তামিমদের হারাতে পারল না ধানমন্ডি, নাঈম শেখের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি

ক্রীড়া ডেস্ক    

সোহানের সেঞ্চুরিতেও তামিমদের হারাতে পারল না ধানমন্ডি, নাঈম শেখের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি

৫০ ওভারে ২১৭ রানের লক্ষ্য আহামরি তেমন কিছু নয়। কিন্তু সতীর্থরা যখন আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত থাকে, তখন সামান্য লক্ষ্যও অনেক দূরের পথ মনে হয়। নুরুল হাসান সোহানের ক্ষেত্রে আজ হয়েছে এমনটাই। সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি।

এবারের ডিপিএলে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক দুটি কাজই সামলাচ্ছেন সোহান। মিরপুর শেরেবাংলায় আজ তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন মোহামেডানের বিপক্ষে সোহান দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন। ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের জয়ের দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মোহামেডান জেতে ২৩ রানে। অন্যদিকে নাঈম শেখের আরেকটি সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংক উড়িয়ে দিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে।

মিরপুরে আজ টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ধানমন্ডি অধিনায়ক সোহান। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে মোহামেডান করেছে ৬ উইকেটে ২১৬ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন তাওহীদ হৃদয়। ছয় নম্বরে নেমে ৪৭ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৫ চার। ৩১.৪ ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত অপরাজিত থেকেছেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন মোহামেডান উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দলপতি তামিম করেছেন ৫৩ বলে ২৬ রান।

২১৭ রানের লক্ষ্যে নেমে বিধ্বংসী শুরু করে ধানমন্ডি। ৪.১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৮ রান তুলে ফেলে দলটি। এখান থেকেই মোহামেডান ১০ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট নিয়ে ধানমন্ডিকে বেশ চাপে ফেলে দেয়। ৫.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৮ রানে পরিণত হয় ধানমন্ডি। দুই ওপেনার হাবিবুর রহমান (৩১) ও সানজামুল ইসলামের (৭) ব্যাটে রান দেখা গেলেও তিন নম্বরে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বি রানের খাতা খুলতে পারেননি। ১৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রান করেছেন হাবিবুর।

১০ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধানমন্ডি শুরুতে যে চাপে পড়েছে, সেটা দেখা গেছে তাদের ইনিংসজুড়ে। এক পর্যায়ে তাদের স্কোর হয়ে যায় ২৫.৫ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৭ রান। পাঁচ নম্বরে নামা সোহান লড়েছেন ‘নিঃসঙ্গ শেরপা’র মতো। ৯২ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি (১০০ রান)। সোহান তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর ধানমন্ডির দরকার ছিল ৪০ বলে ২৪ রান। হাতে ছিল কেবল ১ উইকেট।

সেঞ্চুরি করে আশা জাগিয়েও ধানমন্ডিকে আর জেতাতে পারেননি সোহান। ৪৪তম ওভারের তৃতীয় বলে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে তুলে মারতে গিয়ে সোহান ডিপ মিড উইকেটে হৃদয়ের দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হয়েছেন। ৪৩.৩ ওভারে ১৯৩ রানে ধানমন্ডি অলআউট হলে ‘লো স্কোরিং ম্যাচ’ মোহামেডান জিতে নেয় ২৩ রানে। মোহামেডানের সাইফউদ্দিন নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৪.৩ ওভারে খরচ করেন ৩৪ রান খরচ করেছেন। তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ, আবু হায়দার রনি ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ধানমন্ডি হারলেও ৯৩ বলে ১০০ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন সোহান।

ডিপিএলে আরও একটি সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাঈম শেখ। তাঁর সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংক হেসেখেলে জিতেছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। ছবি: বিসিবি
ডিপিএলে আরও একটি সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাঈম শেখ। তাঁর সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংক হেসেখেলে জিতেছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। ছবি: বিসিবি

অপরদিকে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আজ টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব বেশ সংগ্রাম করেছে। ৪৮.৪ ওভারে ১৫৯ রানে গুটিয়ে গেছে দলটি। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন ফারজান আহমেদ। প্রাইম ব্যাংকের নাজমুল ইসলাম অপু ও শফিকুল ইসলাম তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন। অপু ১০ ওভার বোলিংয়ে ২২ রান খরচ করেছেন। ২ ওভার মেডেন দিয়েছেন। ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২০.১ ওভারে ১ উইকেটে ১৬২ রান তুলে ফেলে প্রাইম ব্যাংক। ১৭৯ বল হাতে রেখে পাওয়া এই জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাঈম। ৬৪ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি।

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে দিনের অপর ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, আবাহনী লিমিটেড দুই দলই রানের জন্য সংগ্রাম করেছে। সব মিলিয়ে খেলা হয়েছে ৭০.১ ওভার। পড়েছে ১৮ উইকেট। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া গাজী ৩৫.১ ওভারে ১৯৯ রানে অলআউট হয়েছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন বিজয়। ওপেনিংয়ে নেমে ৭৬ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৬ চার ও ৩ ছক্কা।

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স মূলত আবাহনীর ঘূর্ণিতেই নাকাল হয়েছে। আবাহনীর চার বোলার ১০ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। মুমিনুল হক ৬.১ ওভারে ৩৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন রাকিবুল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি।

২০০ রানের লক্ষ্যে নেমে আবাহনী ২ উইকেটে জিতেছে ৯০ বল হাতে রেখে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুন। অধিনায়ক শান্তর ব্যাটে আসে ৪৪ রান। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে মুমিনুলের হাতে। বোলিংয়ে ৪ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে ২৫ বলে ২৪ রান করেছেন।

পাকিস্তান সিরিজের দলে হঠাৎ নিউজিল্যান্ডের এত চমক

উদ্বেগভরা সময় পেরিয়ে তামিমের ফেরা

নিজের জন্মদিনে তামিমের জন্য দোয়া চাইলেন সাকিব

আইপিএলে অবিক্রীত ওয়ার্নারই পাকিস্তানের লিগে অধিনায়ক

তামিমের জন্য দোয়া চাইলেন হামজারা

লিটনদের বিকল্প খুঁজছে পাকিস্তান সুপার লিগ

তামিমের জন্য মন খারাপ হার্শা-যুবরাজদেরও

তামিম কদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন, জানালেন সাইফউদ্দিন

তামিম এখন কথা বলতে পারছেন

মোহামেডানকে জিতিয়েই তামিমকে দেখতে হাসপাতালে ছুটলেন মুশফিকরা